অস্তিত্বের লড়াইয়ে আমি নারী
তিতলী রায় (কলকাতা)
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে গেছে অনেকখানি
আজও মেপে মেপে পা ফেলি,
তবুও কে যেন পিছু ডাকে
বলে তোমার হাঁটাটা অতি জঘন্য।
ঘরে বাইরে সর্বত্র আজও নানা খুঁত ধরে ;
গায়ে না মাখলেও মনে তো দাগ কাটে!
চিৎকার করে কোথায় আর বলতে পারছি
” তাতে তোমার কী”?
আসলে সবাই তো আমার আপনজন।
সময়ের সাথে জীবনের অধ্যায় পাল্টায়,
মনে হাজার স্বপ্ন জাগে
ইচ্ছেরা একটু একটু করে ডানা মেলে
মন কেমনের জানালা দিয়ে আবির রাঙা আকাশ দেখি,
প্রতিদিনই কতো নতুন কুঁড়ির জন্ম হয়
আবার ঝরেও যায় সমাজের অমানবিক নিষ্ঠুরতায়।
কখনও বা হারিয়ে যায় শহরের অন্ধকার অলিগলিতে
যার খোঁজ আজও কেউ নেয় না,
অথবা খোঁজ পাওয়া যায়নি আজও।
ছোট্টো কুঁড়িটি যখন ভূমিষ্ঠ হয়,
না জানি কতো স্বপ্ন পরিবার দেখায়
কিন্তু সমাজের খোকলা রূপে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলায়।
কেউ শোনে না তার ইচ্ছে পূরনের কথা,
চাপিয়ে দেওয়া হয় সবার নিজের পছন্দ
একাকী নির্জনে বসে কুঁড়ে কুঁড়ে মরে!
নারী স্বাধীনতা শুধু মুখের বুলি
বাস্তবে বড়োই ভয়ংকর।
এমনই অনেকে পথে ঘাটে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়,
নাম ববি হলেও,
ডাকে তাঁকে তখন সবাই
“ববি পাগলি” বলে
এই বুঝি নারী শক্তি
এরই নাম নারী দিবস।
কীইবা আসে যায় এই একটি দিবসে?
নারী স্বাধীনতা আজও সেই আদিম যুগের মতোই।
যদি বলো তবুও তো কেউ গিয়েছে চাঁদে
কেউ বা সেনাবাহিনীতে দেশ সেবায় কর্মরত
হ্যাঁ, সেখানেই জয় কিছুটা আজ নারী দিবসের।