মোল্লা জসিমউদ্দিন, ৭ জুন,
নারদায় সিবিআইয়ের অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে ধারাবাহিক শুনানি।সোমবার এই মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীদের আইনজীবীদের কাছে আদালত জানতে চায় – ‘ আইনমন্ত্রী কেন আদালতে গিয়েছিলেন? তিনি কি নিয়মিত আদালতে যান? ‘ প্রত্যত্তরে অভিষেক মনু সিংভি জানান – ‘ সিবিআই নারদা তদন্তে যথাযথ কাজ করছে না।নোটিশ না পাঠিয়েই গ্রেপ্তার। এখন মামলাটির মূল বিষয় থেকে ভীড় টি কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এমন বিখ্যাত মানুষদের বিচারের সময় ভীড় হওয়াটায় স্বাভাবিক। তার জন্য বিচার প্রভাবিত হয়না।পি চিদম্বরম, সঞ্জয় দত্তের ক্ষেত্রেও এইধরনের ঘটনা ঘটেছিল।তবে বিচার প্রভাবিত হয়নি।এক্ষেত্রেও হয়নি’। তখন আদালত জানায় – ‘ এটা সাধারণ মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নয়। একটা নিদিষ্ট পক্ষের সমর্থকদের প্রতিবাদ’।এদিন অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে অভিষেক মনু সিংভি বলেন – ‘ এতদিন পর কেন প্রভাবশালী তত্ত্ব প্রয়োগ করা হচ্ছে।কেনই বা প্রমাণ লোপাটের চিন্তা? এইরুপ পক্ষে বিপক্ষে সওয়াল-জবাব চলে। তবে কোন নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।উল্লেখ্য, গত ১৭ মে নারদা মামলায় হঠাৎই একযোগে অভিযান চালিয়ে সিবিআই রাজ্য সরকারের দুজন মন্ত্রী, একজন বিধায়ক সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র কে গ্রেপ্তার করে থাকে। এই গ্রেপ্তারি পরবর্তীতে সিবিআইয়ের অফিস নিজাম প্যালেসের সামনে হাজার হাজার তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে থাকে। এমনকি অফিসের ভেতর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টানা ৬ ঘন্টা মত অবস্থান করে থাকেন।এই মামলার বিচারস্থল ব্যাংকশাল আদালত চত্বরে খোদ আইনমন্ত্রী চলে আসেন সেদিন। গ্রেপ্তারি পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই অফিসে আসা এবং শুনানি চলাকালীন ওই আদালত চত্বরে আইনমন্ত্রীর থাকাটা নিয়ে প্রভাবশালী তত্ত্ব আনে সিবিআই। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলছে ধারাবাহিক শুনানি।এদিন আদালত জানতে চায় – ‘ আইনমন্ত্রী কি নিয়মিত আদালতে যান? ‘