সেখ নিজাম আলম,
; ২০১৬ সাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। তখন সাড়ে আট হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি থাকায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে আজও পর্যন্ত হ্যারিকেনের আলোয় ছেলের পড়াশুনা ও অন্যান্য কাজ চলছে।আউশগ্রামের প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর সেখ পাঁপড় বিক্রি করে সংসার চালান। তার স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে নিয়ে এতদিন অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ীতে নলকুপও নেই। পাশের বাড়ীতে জল নিতে গেলে করোনার ছোঁয়ায় ইতস্তত করেন তারা। এমন করুণ পরিবার অতি দূঃখে জীবন কাটাচ্ছেন আউসগ্রামের অভিরামপুরে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়ার পর বর্তমানে তার বিল দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে। যা কখনই তাদের পরিশোধ করা সম্ভব নয়। দূঃখের বিষয় এই পরিবারটি বিদুৎ পেতেও বঞ্চিত থাকছেন,আবার বিদ্যুৎ ভোগ না করেও দিনের পর দিন বিল বেড়েই যাচ্ছে।দাবিি, অথচ হুকিং চুরি করে অনেক পরিবার বিদ্যুৎ চালিয়ে এসেছে দীর্ঘদিন। আবার কতিপয় ধনী ব্যাক্তিরা মিটার কানেকশন থাকা সত্ত্বেও চুরি করে বৈদুতিক চুল্লি চালানোর অভিযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা ফাইনও দিয়েছেন এই এলাকায় । অথচ এই নিরীহ পরিবারের কি কোন সুরাহা হবে না? এড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আজ তাদেরকে ফোনে না পাওয়ায় আউসগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেখ হায়দার আলির মন্তব্য ফোনে পাওয়া গেছে। তিনি জানান, “এই পরিবারের করুণ ইতিহাস আমি শুনিনি। তবে বিল যাতে কম করা কিংবা মঞ্জুর করা যায়,তারজন্য এস,এম কে জানানো হবে”।