“আক্রান্ত সংবিধান বিপন্ন প্রজাতন্ত্র”- বিষয়ক আলোচনা সভা, বাঁকুড়া জেলায়

Spread the love

“আক্রান্ত সংবিধান বিপন্ন প্রজাতন্ত্র”- বিষয়ক আলোচনা সভা, বাঁকুড়া জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁকুড়া:- “আক্রান্ত সংবিধান, বিপন্ন প্রজাতন্ত্র”- শীর্ষক বিষয়ের উপর ১৯ জানুয়ারী রবিবার বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ে বামপন্থী দলগুলির নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সভা থেকে মূলতঃ বামপন্থী শক্তিগুলির ঐক্যের সুর উঠে আসে। আলোচনা সভায় সিপিআই (এম এল) লিবারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার বলেন,বিজেপি দেশের সংবিধানকে বাতিল করে মনুস্মৃতিকে নিয়ে আসতে চাইছে। যার মাধ্যমে জাতপাতের নিপীড়ন বা মহিলাদের গৃহকোনে আবদ্ধ রাখার মতো নানাবিধ মধ্যযুগীয় প্রথাকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওরা ভারতকে হিন্দু রাস্ট্র হিসাবে ঘোষণা করতে চাইছে। হিন্দুত্ব বিজেপির এক রাজনৈতিক প্রকল্প, যার সাথে হিন্দু ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। বিগত ১০ বছরে বিজেপি একের পর এক আইন সংশোধন করে মানুষের উপর জনবিরোধী নীতিগুলি চাপিয়ে দিচ্ছে। যথা বনাধিকার আইন সংশোধনী, জিএসটি, কৃষি বিপনন নীতি প্রভৃতি। যদিও এর বিরুদ্ধে আক্রান্ত মানুষ প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।
আরজিকর কান্ডে সাম্প্রতিক আদালতের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেবল ধর্ষণ বা হত্যার ঘটনাই নয়,স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চরম দূর্নীতির সাথে যুক্ত অপরাধী চক্র নিয়ে আদালত নিশ্চুপ থেকেছে। মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সবের বিরুদ্ধে আগামীতে রাস্তার লড়াই আরও তীব্রতর হয়ে উঠবে।
সিপিআই (এম) বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, গতকাল আর জি কর কান্ডে আদালতের রায় অপরাধকে লঘু করে দেখিয়ে দিলো কিভাবে আজ বিভিন্ন প্রশ্নে সংবিধান আক্রান্ত হয়ে চলেছে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দেশের সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র এই দুটো কথাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোটাকে ভেঙেচুরে দিতে চাইছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গণতান্ত্রিক বিবেককে অবদমিত করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে বামপন্থীরা এগিয়ে যাবে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিআই নেতা ভাস্কর সিনহা,বামপন্থী নেতা অধ্যাপক প্রতীপ মুখার্জি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের রাজ্য কমিটি সদস্য জয়তু দেশমুখ ও বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক বাবলু ব্যানার্জী প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *