খায়রুল আনাম,
নতুন করে রাজনৈতিক চর্চ্চা শুরু হয়ে গিয়েছে দলে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে নিয়ে। গোরুপাচার এবং বেআইনী আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে, দীর্ঘদিন তিহাড় জেলে বন্দি জীবন কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পেয়ে বোলপুরের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার একমাত্র মাতৃহীন সন্তান সুকন্যা মণ্ডলও ছিলেন তিহাড় জেলে। তিনিও জামিনে ছাড়া পেয়ে বাবার সাথেই বাড়ি ফিরেছেন। অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় দল পরিচালনার জন্য যে কোর কমিটি গড়ে দেন, তা এখনও বলবৎ রয়েছে এবং দলনেত্রীর নির্দেশে কোর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। দিল্লির তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত যে দিন বোলপুরে ফেরেন, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি বোলপুরে জেলা প্রশাসনিক বৈঠক ডেকে, বোলপুরে এলেও তার প্রিয় কেষ্টর সঙ্গে দিদির দেখা হয়নি। এদিকে জেলা রাজনীতিতে কেষ্টর গুরুত্ব এবং প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। কেষ্টর নিকটজন বোলপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের অনুগামীদের সঙ্গে অনুব্রতর অনুগামদীের শ্রীনিকেতনে একটি দলীয় কার্যালয় নিয়ে বিবাদ-মারপিটও হয়েছে। যা নিয়ে একটা ভিন্ম সুরের চর্চ্চাও শুরু হয়। অনুব্রত জেল থেকে আসার পরে তার সঙ্গে দলের বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়ের দেখা হয়নি। এমন কী, শতাব্দী রায়ের অনুব্রতকে নিয়ে করা মন্তব্য ঘিরেও চর্চ্চা চলছে। শতাব্দী রায় সেই অর্থে অনুব্রতকে তেমন একটা ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছেন না বলেও বলা হচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার ২৫ নভেম্বর কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার কালীঘাটের বাড়িতে দলের জাতীয় কর্ম সমিতির যে বৈঠক হচ্ছে, সেখানে ডাকা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়করা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা যাচ্ছে। এদিনই শুরু হচ্ছে লোকসভার অধিবেশন। একই দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক এবং সেখানে আমন্ত্রিত অনুব্রত মণ্ডল। যা নিয়েই এখন চলছে চর্চ্চা।