মোল্লা জসিমউদ্দিন,
পাহাড় সমান মামলার সংখ্যা কমাতে বরাবরই তৎপরতা দেখা যায় আদালতে। তবে সেই মামলার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি ঘটে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে।আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করার জন্য মামলাকারীরা ফের দারস্থ হন সেই আদালতেই।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিরক্তি প্রকাশ করলো কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দুটি আদালত অবমাননা মামলার শুনানি চলে। সেখানে ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য – ‘ আদালত অবমাননায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুঃখ প্রকাশ করে দায়সারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৫০% মামলায় আদালত অবমাননা সংক্রান্ত। দিন কে দিন আদালত অবমাননা যেন ‘ছেলেখেলা’ হয়ে যাচ্ছে’।বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দুটি আদালত অবমাননার মামলার শুনানি চলে।একটিতে বিশ্বভারতীর এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি থাকলেও তা কার্যকর না করা।অপরটিও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক চিকিৎসক্নকে তাঁর বেতন মিটিয়ে না দেওয়া।এই দুটি মামলাতেই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চ। বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার কে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে লিখিত বক্তব্যে( হলফনামা আকারে) র মাধ্যমে হাইকোর্ট কে জানানোর নির্দেশ জারি হয়েছে এদিন।কেন গত ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশিকা থাকলেও তা কার্যকরী কেন করা হয়নি? এদিন কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতী কে হুশিয়ারির সূরে জানিয়েছে – ‘ এই আদালত অবমাননা মামলায় রুল জারি করা যেত, তাতে কবিগুরু শিক্ষানিকেতনের সম্মানহানি ঘটতো। ওই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক গত ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁর বকেয়া বেতন পাননি।তাই আদালতের আগেকার নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয়েছিলেন। অপরদিকে এইদিনেই বিশ্বভারতীর ভুমিকায় যেমন ক্ষুব্ধ হয় আদালত, ঠিক তেমনি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক চিকিৎসকের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশিকা কার্যকর না হওয়ায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত অবমাননা মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে কেন মামলার নিস্পত্তিতে উদাসীনতা দেখায় সে নিয়েও উঠে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধিতে আদালত অবমাননা মামলার সংখ্যা শতকরা পঞ্চাশ ভাগ মত।