মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
একদিকে উন্নয়নের কাজ তদারকিতে প্রশাসনিক সভা, অপরদিকে দলের বসে যাওয়া নেতাদের নিয়ে আদিবাসী মহল্লায় অভাব অভিযোগ শোনা। মঙ্গলকোট বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দুটি কাজই করলেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে।শুক্রবার দশটার মধ্যেই মঙ্গলকোটে চলে আসেন তিনি।প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে রুগী জনকল্যাণ সমিতির সভা সারেন। সেখানে ব্লক প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট থানার প্রতিনিধিরা ছিলেন। জেলার সর্ববৃহৎ ব্লক হাসপাতালে রুগির আত্মীয়দের সাময়িক থাকবার জন্য প্রতীক্ষালয় গড়ার প্রস্তাবনা পাস হয়। বিধায়ক তহবিলের ৮ লক্ষ অনুদানে পুরুষ – স্ত্রী ভিন্নভাবে থাকবে এই প্রস্তাবিত প্রতীক্ষালয়। সেখানে বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। উল্লেখ্য, হাসপাতালের উন্নয়নে তিনি কুড়ি লক্ষ টাকা বেশ কয়েক বছর আগেই দিয়েছিলেন নব ভবন গড়ার জন্য। সেই ভবনে এখন গর্ভবতী মহিলাদের ওয়ার্ড হয়েছে।শুক্রবার হাসপাতালে প্রশাসনিক সভা করার পর ভাটপাড়া গ্রামে চলে যান দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেস করা ব্লক নেতা লিয়াকত আলীর বাড়িতে। এখানে বিধায়ক মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন। কেন দলের কর্মসূচিতে নিস্ক্রিয় এই নেতা, তা বিস্তারিত জানেন স্থানীয় বিধায়ক। উল্লেখ্য, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই এইরুপ বসে যাওয়া তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকদের দলে আনবার জন্য ‘স্বীকৃতি সংবর্ধনা’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। যা আজ মঙ্গলকোট বিধায়ক কার্যক্ষেত্রে করলেন। এরপর চলে যান বিধায়ক আদিবাসী অধ্যুষিত সাঁওতা গ্রামে। সেখানে আদিবাসীদের নিয়ে গ্রামসভা চালান তিনি। অভাব অভিযোগ শোনে তা খাতায় লিখে নেন বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। বিধায়ক বলেন – ” আমি শুনতে যেমন এসেছি, তেমনি কি কি উন্নয়ন চায় তা লিখে রাখছি বাস্তবায়িত করার জন্য “।