আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করল গুসকরা মহাবিদ্যালয়
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
ছুটির দিন থাকায় ৮ ই মার্চের পরিবর্তে পরের দিন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের মহিলা বিভাগের পরিচালনায় র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ‘নারী দিবস’ পালন করল গুসকরা মহাবিদ্যালয়। অধ্যক্ষ সুদীপ চ্যাটার্জ্জীর নেতৃত্বে র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপিকা ড. সাবিনা বেগম সহ অন্যান্য অধ্যাপিকারা। র্যালির একেবারে সামনে ছিল মহাবিদ্যালয়ের এনসিসি-র সদস্যরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ র্যালি মহাবিদ্যালয় চত্বরে ফিরে আসে। পরে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিবেশিত নৃত্য, সঙ্গীত ও কবিতা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা ডিরেক্টরের উদ্যোগে ও গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনায় সদ্য সমাপ্ত আন্ত-কলেজ জেলা ভিত্তিক রাজ্য ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় মহিলাদের খো খো বিভাগে বিজয়ী হয় আয়োজক গুসকরা মহাবিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ সহ উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা সেই দলের ৯ জন সদস্যের হাতে জার্সি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠের ট্রাস্টি সদস্য এবং কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সচিব স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর নাসরীন।
অনুষ্ঠানে ‘বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নারী শিক্ষার মূল্য’ প্রসঙ্গে মূল্যবান বক্তব্য পরিবেশন করেন স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন – সমাজ তথা দেশের উন্নতি করতে হলে নারীদের শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অপরদিকে ‘নারীর ক্ষমতায়ন: একটি দীর্ঘ পথ চলা’ শীর্ষক বিষয়ে অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর নাসরীনের মতামত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। তিনি বলেন – কেবল আক্ষরিক অর্থে নয় প্রকৃত অর্থেই নারীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপিকা ড. সাবিনা বেগম বলেন - যে উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা শুরু হয়েছিল তাকে যথাযথ গুরুত্ব দিলে দিনটি পালন করা সার্থক হবে।
এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জি।তিনি আজকের দিনটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের চাকরি ক্ষেত্রে 'প্লেসমেণ্ট'-এর জন্য খুব শীঘ্রই মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে এবং একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহযোগিতায় মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এরফলে অন্তত দশ জন ছেলেমেয়ে চাকরির সুযোগ পেতে পারে। মহাবিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছে।