আবারও দেখা গেলো ভাতার থানার পুলিশ প্রশাসনের বড় সড় সাফল্য।
সেখ রাজু,
ভাতার থানায় অফিসার ইনচার্জ পদে নিযুক্ত হওয়া থেকেই সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক কাজ করে এক অনন্য নজির গড়েছেন ও.সি প্রসেনজিৎ দত্ত।আজও তার ব্যাতিক্রম হলো না। জানা যায় আজ সকাল থেকে একটি ৮ বছরের বাচ্চা বর্দ্ধমান কাটোয়া লাইনের ট্রেনে চেপে কাটোয়া চলে যায়।জানা যায় বাচ্চাটির বাড়ি ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে,নাম রাজ রায়,পিতার নাম জয়ন্ত রায়।এদিকে শিশুটির বাবা চতুর্দিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন,বন্ধু বান্ধব,আত্মীয় সজ্জন দের বাড়িতে খোঁজ করেন।৮ বছরের শিশু রাজ ট্রেন থেকে নেমে কাটোয়া স্টেশনে ঘুরে বেড়ায়, তা দেখে দুই ব্যাক্তির সন্দেহ হয়,ছেলেটিকে নাম ও বাড়ি জিজ্ঞাসা করেন,ছেলেটি শুধু বলে তার বাড়ি ভাতার।এই সময় বাসন্তী হাজরা নামে এক ভদ্র মহিলা,বাড়ি কাটোয়ার ১৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মিল পাড়ায়,তিনি কোনো কাজে কাটোয়া প্লাটফর্মে এসেছিলেন।তিনি জানান,ওনার দুইজন পরিচিত লোক বাচ্চাটিকে নিয়ে বসে থাকে কাটোয়ার স্টেশনের গাছতলায়,তিনি তাদের বলেন আমার ভাতারে পরিচিতি রয়েছে,এই কথাটার উপর ভিত্তি করে উক্ত দুই ব্যাক্তি ভদ্র মহিলার হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দেয়,এরপর ভদ্র মহিলা বাচ্চাটিকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে বাড়ি জিজ্ঞাসা করলে বাচ্চাটি জানায় তার বাড়ি ভাতার।এরপর ওই ভদ্র মহিলা বাচ্চাটিকে সঙ্গে নিয়ে ভাতার পৌঁছায় এবং ভাতার থানার পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেন।ভাতার থানার পুলিশ ওই বাচ্চাটিকে তার অভিভাবকের হাতে ফিরিয়ে দেন,কাটোয়ার ১৯ নাম্বার ওয়াডের বাসিন্দা বাসন্তী হাজরার মানবিক উদ্যোগে ভাতার থানার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ৮ বছরের শিশুকে ফিরে পেয়ে বাসন্তী দেবী এবং ভাতার পুলিশ প্রশাসনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালেন শিশুর অভিভাবক।