আরজিকর কান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি মামলার রায়দান স্থগিত রাখলো হাইকোর্ট 

Spread the love

আরজিকর কান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি মামলার রায়দান স্থগিত রাখলো হাইকোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

ধর্মতলায় ধরনার সময়সীমা আরও বাড়াতে চায় জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্টের সংগঠন। সেই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের  দ্বারস্থ হয়েছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়ের করেন এবং দ্রুত শুনানির আবেদনও করেন তাঁরা। এদিন মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হল।বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন সংক্রান্ত মামলা।আরজি কর কাণ্ডে দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে এবং সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের প্রতিবাদে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ধর্মতলায় ধর্নায় বসেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। ধর্নার সময়সীমা আরও বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়ে এদিন ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁরা।সেই মামলার শুনানিতে চিকিৎসদের কড়া আক্রমণ করেছেন রাজ্যের আইনজীবী।চিকিৎস সংগঠনের ধর্নার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আদালত দাবি করা হয়েছে, প্রতিবাদী ডাক্তারদের নিজেদের প্রচার ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। একই সঙ্গে তাঁরা কৌশলে আদালতের শর্ত অমান্য করছে। রাজ্যেও এও অভিযোগ, উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা থাকায় চিকিৎসকরা উস্কানিমূলক পোস্টার লেখা হয়েছে।এই শুনানিতেই নাম না করে জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের আইনজীবী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যারা সামিল হয়েছিলেন সেই ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম মুখ এই কিঞ্জল। তবে সম্প্রতি তাঁকে একাধিক বিজ্ঞাপনী পোস্টার এবং সিনেমার পোস্টারে দেখা গেছে। ঠিক এই ইস্যুতেই রাজ্যের আক্রমণ, ‘আন্দোলনকারী চিকিৎসক বিজ্ঞাপনের মডেল।ধর্নার বিরোধিতায় রাজ্যের আরও যু্ক্তি, -‘ গার্ডরেলের বাইরে গ্র্যাফিটি তৈরি করে বিক্ষোভের এলাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ি আটকে সাধারণ মানুষের আরও হয়রানি বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের দাবি , -এটা তো হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছে না যে ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে যেতে হবে! ‘ রাজ্যের প্রশ্ন, -‘যারা গ্র্যাফিটি বানায়, যারা গাড়ি আটকায়, তারা কি আদৌ চিকিৎসক? ‘উল্টেদিকে, চিকিৎসক সংগঠনের আইনজীবী  আদালতে দাবি করেছেন, এই ধর্নার জন্য কারও কোনও অসুবিধা হচ্ছে এমন কোনও অভিযোগ তাঁরা পাননি। আর এই অবস্থান-বিক্ষোভ ৭-১০ দিনের বেশি চলবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাই তাঁর দাবি, ধর্নার সময়সীমা বাড়ানো হোক। পুলিশ অনুমতি দেয়নি তাই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *