ইউফোরিয়া জেন এক্সের কনভেনশনে সার্টিফিকেট পেলেন ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী
,
নিজস্ব প্রতিনিধি,
গত শনিবার নিউটাউনের রবীন্দ্র তীর্থ মঞ্চে টেকনো এক্সপোনেন্টের স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ইউফোরিয়া জেনেক্সের সামার ট্রেনিং প্রোগ্রামের শেষে একটি কনভেনশনের আয়োজন করে থাকে । বিটেক, এমটেক, বিসিএ, এমসিএ ডিপ্লোমার মত বিভিন্ন শিক্ষাক্রমের প্রায় ৩ হাজার ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হলো।ওইদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা ছবি ভটভটির পরিচালক ও অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। তথাগতবাবু জানান,-‘ বাংলার পেশাদারী শিক্ষা কার্যক্রমে এই সংস্থার অবদানের কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে গর্বিত’। ইউফোরিয়া জেনেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সব্যসাচী সাহা ও শিক্ষা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অভয় দেবনাথ এবং সহ সভাপতি জ্যোয়েন্দ্রিসা ঠাকুর জানালেন, -‘ কোলকাতায় চাকরিকেন্দ্রিক শিক্ষাদানের বহু শিক্ষাকেন্দ্র আছে। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠান পেশাদারী শিক্ষায় শুধু পাঠ্যকেন্দ্রিক নয়, হাতে কলমে ব্যবহারিক শিক্ষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের উপযোগী শিক্ষাক্রম কি হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ দেওয়া হয়’। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা পেশাদারী শিক্ষাক্ষেত্রে বিষয় নির্বাচনে দিশা খুঁজে পান না। হ্যান্ডস অন অভিজ্ঞতা, পার্সোনাল মেন্টরশীপ প্রদান করি । ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ২৫০ জন বিশেষজ্ঞ যাঁরা ডিজনি, রেডবুল, নাসা, অ্যামাজন ও দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মত বেশ কিছু ফরচুন ৫০০ বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজে যুক্ত। সম্প্রতি টেকনো এক্সপো টেন্ট টাইমস্ গ্রুপের টাইমস্ লিডিং আই টি কোম্পানি ২০২২ পুরস্কার ও এশিয়া ওয়ান এর এশিয়া আফ্রিকা বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল ফোরামের ,১৮ তম সংস্করণে ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং এওয়ার্ড পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক সব্যসাচী সাহা সম্মানিত হয়েছেন সেরা তরুণ পরিচালক ২০২১-২২ হিসেবে। সংস্হার মোট ৫ টি প্রতিষ্ঠান আছে বিশ্বে। দুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি ও ভারতের কলকাতা শহরে।এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদদের মধ্যে আছেন।টেকনো ইন্ডিয়া সল্টলেকের সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত চক্রবর্তী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শমীক বসু, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের টি পি ও অধ্যাপক মৈত্রেয়ী সামন্ত, কলকাতা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের এইচ ডি ও অধ্যাপক অভিজিৎ মিত্র, ব্রেনওয়ার ইউনিভার্সিটির সি এস ই এর এইচ ও ডি অধ্যাপক দেবদত্ত পাল ও তনুশ্রী গুপ্ত, পি আই টি এম কলেজের টি পি ও অধ্যাপক সুকন্যা গুপ্ত, পরিচালক সূর্য শেখর কর, জে আই এস স্কুল ভি অফ পলিটেকনিকের মুখ্য টি ও পি প্রদোষ বসুরায়, এম সি কে ভি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দাস , সুস্মিত মজুমদার, মুখ্য টি ও পি সন্দীপ দত্ত ও চন্দন সাহা ।শংসাপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছাত্রছাত্রীদের কয়েকজন জানালেন, -‘বুনিয়াদি শিক্ষাক্রমের পর আমরা দিশাহীন ছিলাম কোন ধরনের শিক্ষাক্রম আমাদের জন্য সেরা হবে। আমাদের সৌভাগ্য, এই প্রতিষ্ঠানের দুই প্রধান পুরুষ অভয় স্যার এবং সব্যসাচী স্যার আমাদের দিশা দেখিয়েছেন। আমরা আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ব্যবহারিক পর্যাপ্ত শিক্ষা যেমন পেয়েছি, তেমন এখানকার অশিক্ষক কর্মীদের কাছেও স্নেহ ভালবাসা পেয়েছি’।