ইএমআই স্থগিত রাখার স্মারকলিপি পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক কে
সুকান্ত ঘোষ, ৭ জুন,
প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে মারণ ভাইরাস করোনার বাড়বাড়ন্ত। অধিকাংশ সময়ই কেটেছে লকডাউন বা সরকারি বিধি-নিষেধ পালনে। চরম আর্থিক সংকটে সাধারণ মানুষ সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,বেকারত্ব একপ্রকার নাজেহাল জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে যখন মানুষের দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোটানোই দায় তখন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ ঋণের বোঝা। ঋণের মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। গতবছর সরকারি নির্দেশনামা থাকায় কয়েক মাস মাসিক কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে রেহাই মিলেছিল তবে পরবর্তীতে দেখা যায় বকেয়া মাসিক কিস্তির উপর সুদের বোঝা, নাজেহাল অবস্থা সৃষ্টি করে ঋণ গ্রহিতাদের। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় রাজ্য সরকার সরকারি বিধি নিষেধ ঘোষণা করেছে। মাসাধিককাল যাবত কিন্তু এই বছর ঋণের মাসিক কিস্তির ওপর কোনরকম সরকারি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন মানুষজন। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যারা বিভিন্ন অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন চরম আর্থিক সংকটে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বর্ধমান সহযোদ্ধা’ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে থাকে যে, সাম্প্রতিককালের মাসিক কিস্তি স্থগিত ও আগামী দিনে যেন এই মাসিক কিস্তির উপর সুদ দিতে না হয় তার জন্য আবেদন করে তারা। সংস্থার পক্ষ থেকে কৌশিক সিনহা,প্রশান্ত ধীবর,রঞ্জিত সেন,মনোজিৎ বসুরা জানান,-“আমরা বর্তমান করোনাকালের মানুষের কঠিন পরিস্থিতির কথা জেলাশাসক কে জানিয়েছি এবং সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছেও সমগ্র বিষয়টি তুলে ধরবো”।