ইচ্ছে করে,
চিত্রা কুণ্ডু বারিক
এগিয়ে আসছে ধীরে ধীরে শারদীয়া দুর্গোৎসব। আকাশে বাতাসে ভেসে ওঠে রোদের সোনালী আলোর খেলা, বাতাসে ভেসে আসে হালকা শীতের ছোঁয়া, শিউলি ফুলের গন্ধ।
ইচ্ছে করে সারাদিন শিউলি তলায় বসে টুপটুপ করে শিউলি গুলো পড়তে থাকা ফুল কুড়োতেই থাকি। ফুলের গন্ধে সারা শরীর যেন শান্তিতে ভরে ওঠে।
কিন্তু আজকাল আর শহরতলীতে ফুলের খোঁজ কম পাওয়া যায়। গাছ কেটে কেটে বসত বাড়ি তৈরি হচ্ছে। আগের মতো পূজোর আনন্দ নেই। যেটুকু হয় সবটুকুই আর্টিফিশিয়াল। রেকর্ড করা ঢাকের আওয়াজ, সানাই আর বাজে না চলতে থাকে ঝিকঝাক হিন্দি ইংলিশ গান।
ছোটোবেলায় আমরা কি না করেছিলাম। পূজোমন্ডপের কতৃপক্ষ থেকে ছোটোদের কাছে আবদার থাকতো এই বাচ্চারা ফুল, বেলপাতা, দূর্বাঘাসের জোগাড়ের দায়িত্ব তোমাদের কাছে দেওয়া হলো। তারপর সকলে স্নান সেরে ফল কাঁটার প্রতিযোগিতা। যে বেশি ফল কাটতে পারবে তার জন্য থাকবে পুরষ্কার। পুরষ্কারের লোভে তখন কত কাজ করে দিতাম। কোথায় যেন হারিয়ে গেল সেসব দিন। এখন সব গল্প কথা।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর আড্ডা। পূজোর শেষে শুরু হতো যাত্রাপালা। সারাদিন পড়াশোনা করে সন্ধ্যে থেকে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রা দেখা, সাথে বাদাম ভাজা, ছোলা ভাজা, পাঁপড় ভাজা কতকিছু মজা ছিল। দু’পা ছড়িয়ে মায়ের জন্য জায়গা রাখা।
ফিরে চাই সেইসব দিন, কিন্তু বৃথাই চাওয়া কারণ অতীত কখনো ফিরে আসে না।
ইচ্ছে করে আবার আগের মতো ছোটো হয়ে ফিরে যাই স্বপ্নের দেশে।
