ইয়াসের দুর্গতদের পাশে হেল্পিং হ্যাণ্ডস,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,
মাঝে এক সপ্তাহও হয়নি, আবার ইয়াসের দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালো বিশিষ্ট অভিনেত্রী পিয়ালী বসুর 'মানসকন্যা' কলকাতার 'হেল্পিং হ্যাণ্ডস' নামক চ্যারিটেবল সোসাইটির সদস্য যুবরাজ চক্রবর্তী, সুমিত রায়, অর্পিতা দত্ত চৌধুরী, দেবী দে, দেবায়ন দে, মৌসুমী দে সহ অন্যান্য সদস্যরা।
মে মাসের শুরুতে ভয়ংকর 'ইয়াশ' ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি হয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। বেঁচে থাকার সব রসদ হারিয়ে ওরা প্রকৃত অর্থে সর্বহারা। খাদ্য নাই, পরনের পোশাক নাই, পানীয় জল নাই - নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে খোলা আকাশের নীচে ওরা অবর্ণনীয় অবস্থায় দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। ভরা কোটালের নোনা জলে নষ্ট হয়ে গেছে চাষের জমি, পানের বরজ। আগামীকাল কিভাবে ওদের চলবে সেই ভেবে ওরা চিন্তিত। এই অসহায় পরিস্থিতিতে ওদের পাশে এসে দাঁড়ালো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্হা।
১৫ ই জুন নামখানার পশ্চিম নাদাভাঙা তরুণ সংঘের উদ্যোগে এবং সুভাষ প্রামাণিকের সক্রিয় সহযোগিতায় 'হেল্পিং হ্যাণ্ডস' এর পক্ষ থেকে পিয়ালী বসু, মৌসুমী দে, দেবায়ন দে ও দেবী দে পৌঁছে যায় নাদাভাঙা গ্রামের 'ইয়াস' দুর্গতদের পাশে। সীমিত সাধ্যের মধ্যেই দুই শতাধিক দুর্গত মানুষের হাতে তুলে দেয় মুড়ি, চিঁড়ে, ছাতু, বিস্কুট, বাতাসা ও মিনারেল ওয়াটার। আগামী দিনেও দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য ওরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে দরকার আরও সহৃদয় মানুষের সাহায্য।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট ব্যানার ছাড়া দুস্থদের পাশে থাকলেও এবছর ২২ শে মে আরও বড় লক্ষ্যকে সামনে রেখে ওরা 'হেল্পিং হ্যাণ্ডস' গড়ে তোলে এবং ২ রা জুন থেকে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়ায়।
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র, সিরিয়াল তথা যাত্রাশিল্পী ও হেল্পিং হ্যাণ্ডসের মুখ্য উদ্যোক্তা পিয়ালী বসু বললেন - দুস্থ মানুষের সেবা করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা হেল্পিং হ্যাণ্ডস গড়ে তুলেছি। নিজেদের সীমিত সাধ্য নিয়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সহৃদয় মানুষ আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা আরও বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারব।