‘উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগে বাধা নেই’, জানালো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ 

Spread the love

‘উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগে বাধা নেই’, জানালো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

রাজ্য জুড়ে চলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঠিক সেইসময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রাজ্যের সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের দিল অশান্তির ঘনঘটা কাটানোর সুখবর।  উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদের জন্য ১৪ হাজার চাকুরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারীদের মামলা খারিজ করলো। বাংলার চাকুরিপ্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলাটাই খারিজ করে দিয়েছে। এরফলে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগের বিরোধিতায় করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, -‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই নিয়োগ হবে’।২০১৫ সাল থেকে রাজ্যে উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। উচ্চ প্রাথমিক মামলায় গত ২৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানিয়েছিল,-‘ নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। তার ভিত্তিতে তারা কাউন্সেলিং করে চাকরিতে নিয়োগ করবে। আদালতের ওই রায়ের ফলে প্রায় ৮ বছর পরে ১৪,০৫২ পদে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ । শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হওয়ায় আবার প্রক্রিয়া থমকে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের রায় সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের  দ্বারস্থ হয়েছিল  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ।এর ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে আইনী জট তৈরি হয়েছিল।শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠেছিল। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে,-‘ ১৪ হাজার শূন্যপদে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ হবে। নিয়োগপত্র দিতে বাধা নেই। কাউন্সেলিং বা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না’। উচ্চ প্রাথমিক মামলায় যারা নিয়োগের পক্ষে, তাঁদের আইনজীবী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও তিনি ছিলেন। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর কল্যাণবাবু এদিন সংবাদ মাধ্যমে জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সাল থেকে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বার বার নাক গলানো উচিত নয়। এর ফলে বাম ও বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল।’ কার্যত এদিনের রায় বলে দিচ্ছে, রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট ।এহেন নির্দেশে এসএসসি কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চলেছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *