উজ্জ্বলতর হয়েছে হিন্দি সাহিত্যিক দুনিয়া যতীশ কুমারের সাহিত্যকৃতীতে

Spread the love

কবিরুল ইসলাম

উজ্জ্বলতর হয়েছে হিন্দি সাহিত্যিক দুনিয়া

যতীশ কুমারের সাহিত্যকৃতীতে

 
 ব্রেথওয়েট কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর, লেখালেখির সঙ্গে যিনি নিজেই বহুদিন ধরেই যুক্ত, একজন মনস্ক কবি এবং সাহিত্যিক, হিন্দি কবিতাকে সারা দেশে প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কলকাতায় মূলত তাঁরই উদ্যোগে তিন দিনের সাহিত্য উৎসব ‘লিটরারিয়া ২০২১’ অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশ থেকে পঞ্চাশেরও বেশি কৃতী সাহিত্যিক-সাহিত্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন এখানে। আগামী (১৮-২০) ২০২২ নভেম্বর, তাঁরই নেতৃত্বে কলকাতায় আবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘লিটারারিয়া ২০২২’ – এই মুহূর্তে যার প্রস্তুতি তুঙ্গে।

নীলাম্বর, কলকাতা ভিত্তিক এই অত্যন্ত মর্যাদাকর সাহিত্য প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায়, তিন দিনের এই সাহিত্য উৎসবে হিন্দি ও অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার প্রতিষ্ঠিত এবং প্রতিশ্রুতিমান কবিদের সাম্প্রতিক সাহিত্যকর্ম পাঠ ও উপস্থাপনা করা হবে, যার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ কাঁধে সোৎসাহে আবারও তুলে নিয়েছেন শ্রী যতীশ কুমার। ১৮ নভেম্বর, ২০২২, হিন্দি সাহিত্যের দিকপাল সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে এখানেই উদ্বোধন করা হবে নীলাম্বর-এর ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সপ্তপর্ণী’।

‘‘সাম্প্রতিককালে হিন্দি সাহিত্যের জগতে বহু তরুণ উদীয়মান সাহিত্যিকের অবির্ভাব হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন অঞ্চল এবং ক্ষুদ্র শহর থেকেও তাঁদের সাহিত্যকর্ম করতে উৎসাহিত হয়েছেন। সাহিত্য উৎসব এবং অন্যান্য সাহিত্যে উৎসাহপ্রদানকারী অনুষ্ঠান এঁদের আত্মপ্রকাশের তথা সাহিত্যকর্মের উজ্জ্বল উদ্ধারের শুধু সুযোগই করে দিচ্ছে না – বিভিন্ন ধ্যানধারাণা ও প্রকাশভঙ্গির মিলনের সুযোগ করে দিয়ে হিন্দি সাহিত্যের জগৎকে বিরাটভাবে সমৃদ্ধ করে তুলছে। হিন্দি সাহিত্যের জগতে নতুন এক পরিবেশের সৃজন শুরু হয়েছে বলা যায়’’ – যতীশ কুমার, নিজে বিবিধ সমাজিক-সাহিত্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর একথাই মনে হয়েছে।

বিগত বেশ কিছু বছরে সাহিত্যজগতে শ্রী যতীশ কুমারের বিশেষ সৃজনশীল উপস্থিতি আদৃত হয়েছে। জনপ্রিয় উপন্যাস, ছোটোগল্প, ভ্রমণকাহিনিগুলির ওপর তাঁর কাব্যিক সমালোচনা পাঠকমহলের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রখ্যাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিজের লেখা কবিতা এবং স্মৃতিকথাগুলিও।

আদ্যন্ত একজন পেশাদার – অথচ হৃদয়ে যিনি কবি। শ্রী যতীশ কুমারের পরিচয় এভাবেও দেওয়া চলে। জন্ম তাঁর ২১ আগস্ট ১৯৭৬ (মুঙ্গের, বিহার)-এ। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে তরুণতম চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ভারতীয় রেলওয়ে সার্ভিস-এর ১৯৯৬ ব্যাচ-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (আইআরএসএমই) শ্রী যতীশ কুমার ভারতীয় রেলওয়ে পরিষেবায় তাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের কৃতিত্বের জন্য ২০০৬ সালে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও – সাহিত্য ক্ষেত্রেও তিনি এক স্বকীয় ধারায় কবিতা, অন্যান্য সাহিত্যকর্ম এবং ভ্রমণকাহিনি রচনায় নজির গড়ে ফেলেছেন এই তরুণ বয়সেই।

শ্রী কুমারের রচিত কাব্যসংগ্রহ ‘‘আন্তাস কী খুরজন’’ এর একেবারে নতুন ধরনের প্রকাশভঙ্গি এবং একঝলক তাজা হাওয়ার সমাহারের জন্য পাঠকের প্রশংসা এবং ভালোবাসা কুড়িয়েছে – পেয়েছে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া। কলকাতাভিত্তিক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য সংগঠন ‘নীলাম্বর’-এর তিনি সভাপতি। বিগত ২০ বছর ধরে তিনি কলকাতাপ্রাণ সাহিত্যিকদের অন্যতম – কলকাতার জন্য লড়াইয়ে সদা অগ্রপথিক। শ্রী যতীশ কুমারের লেখা কবিতা, স্মৃতিকথা, রম্যরচনা বহু নামী সংবাদপত্র এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জনপ্রিয় হিন্দি সাহিত্য ব্লগগুলি – যেমন হিন্দভী, সমালোচন, জানকী পুল, পহেলি বার এবং কবিতা কোশ-এও তিনি নিয়মিত লিখে থাকেন।

জাতীয় এবং জোনাল রেলওয়ে পুরস্কার ছাড়াও, শ্রী যতীশ কুমারকে ইনস্টিটিউট অফ ইকনমিক স্টাডিজ প্রদান করেছে ‘‘আউটস্ট্যান্ডিং গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড – ২০১৯’’, ওয়ার্ল্ড এইচ আর ডি কংগ্রেস তাঁকে সম্মানিত করেছে প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে ‘‘সিএমডি লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েও। তিনি ২০২১-এ অষ্টম পিএসইউ অ্যাওয়ার্ড-এও ভূষিত হয়েছেন।

সমাজোন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে শ্রী যতীশ কুমার সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। সারা দেশে হিন্দি সাহিত্যের প্রচারমূলক কাজের মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীর সৃজনশীলতার বার্তা প্রচার এবং বিবিধ কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) উদ্যোগের উদ্বোধনের মাধ্যমে পরিকাঠামো এবং সক্ষমতা নির্মাণের প্রয়াস তিনি করে চলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *