উত্তরপত্র প্রকাশে মানহানি? হাইকোর্টের দারস্থ তৃনমূল কাউন্সিলর
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
এবার কলকাতা হাইকোর্টে সম্মান ফিরে পেতে দারস্থ হলেন শাসক দলের এক কাউন্সিলর। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এই উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আসায় মানহানি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কুহেলি ঘোষ। তিনি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর । মামলাকারী কুহেলি ঘোষের দাবি,- ‘ তিনি নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।
তাহলে তাঁর ওএমআর শিট ( উত্তরপত্র) জনসমক্ষে এনে কারচুপির তথ্য কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী এই তৃণমূল কাউন্সিলর। এর জন্য প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মামলাকারীর কুহেলি ঘোষের । আর এই নিয়েই আপত্তি ওই কাউন্সিলরের। মামলাকারী বলেন, – ‘আমি ২৩ ডিসেম্বর জানতে পারি, পর্ষদের থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমার নাম রয়েছে। সেই তালিকায় কেন আমার নাম আছে, তা সত্যিই আমার কাছে এখনও অজানা। আমি এম.এ, বি.এড। আমি আগে প্রাথমিকের শিক্ষকতা করতাম। সেই চাকরি ছেড়ে আমি নতুন কাজে যোগ দিই। আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ওএমআর শিটে কত পেয়েছি, বা ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছি… তা কখনোই জানানো হয়নি।” মামলাকারী কাউন্সিলেরর আরও দাবি, “আমাদের শুধু কোয়ালিফায়েড দেখানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং এখন আমি চাকরি করছি।” সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে সংবাদমাধ্যম কে তিনি বলেন , ‘ আসল ঘটনা টি কী? তা সামনে আসা দরকার। সেই কারণেই আমি আদালতে এসেছি। মামলা দায়ের করেছি। বিচারপতির উপর আমার বিশ্বাস আছে, ভরসা আছে। সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই’। তিনি কেবল একজন সাধারণ পরীক্ষার্থী, তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। যিনি খাতা দেখেছেন, তাঁর দায় কত নম্বর দেবেন। এই দাবি রেখেছেন তিনি।তাঁর আরও দাবি , -‘ যখন পরীক্ষা হয়েছিল, ইন্টারভিউ হয়েছিল, তখনও আমি জানতে পারিনি আমি কত নম্বর পেয়েছি।’ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষ। নবম-দশম শ্রেনির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে নম্বর কারচুপি হয় বলে সিবিআই রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিট জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। ৯৫২টি বিকৃত ওএমআর শিটের তালিকায় ৪৭৪ নম্বরে নাম কুহেলি ঘোষে’র।খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।