উত্তরবঙ্গে তিন পুরসভার ভোট নিয়ে ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট

Spread the love

উত্তরবঙ্গে তিন পুরসভার ভোট নিয়ে ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ উত্তরবঙ্গের তিন পুরসভার ভোট নিয়ে বড়সড় নির্দেশ জারি করলো।  পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের সচিবকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিল আদালত । কার্শিয়াং, কালিম্পং ও মিরিক পুরসভায় নির্বাচনের জন্য আগামী ৬ সপ্তাহে মধ্যে মামলাকারীর আবেদন বিবেচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।উল্লেখ্য,  অবিলম্বে এই তিন পুরসভায় নির্বাচনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। প্রায় দু থেকে আড়াই বছর ধরে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না দাবি করেছিলেন মামলাকারী। সে কারণেই যাতে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায় সেই আর্জি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলারই শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার ।মামলাকারীর তরফে আইনজীবী এজলাসে  বলেন -‘  এই তিন পুর এলাকায় শেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১৭ সালের ১৪ মে। ৫ বছরের যে মেয়াদ থাকে তা শেষ হয়েছে ২০২২ সালের এপ্রিলে’। একইসঙ্গে আদালতে এও জানানো হয়, -‘২০২২ সালের ১৩ মার্চ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার’। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, -‘বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই নির্বাচন হয়নি’। ওই আইনজীবী তুলে ধরেন সংবিধানের নিয়মাবলীও। পাঁচ বছরের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার অন্তত ৬ মাস আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি যে নিতে হয় সে কথাও মনে করান তিনি। জানা গেছে  তাঁর কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন কলকাতা হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি।এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান , -‘মামলাকারী যে দাবি জানিয়েছেন তা সঠিক ‘। সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশও উল্লেখ করা হয় এর সপক্ষে। যদিও রাজ্যের তরফে এদিন কোনও আইনজীবীও ছিলেন না এজলাসে। এরপরই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের সচিবকে নির্বাচন করার আর্জি জানিয়ে মামলাকারী যে দাবিপত্র পাঠিয়েছিলেন গত ২৮ জুন ২০২৪ তা ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিবেচনা করার নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য , ১৯৯৩ সালের রাজ্য পুর আইনের ১২ ধারা অনুয়ায়ী রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে এ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখন দেখার আদালতের নির্দেশের পর কী উদ্যোগ নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *