একটা দিন উপহার দেবে?
মায়া সাহা (কলকাতা)
এমন একটা দিন আমাকে উপহার দেবে?
সন্ধ্যায় ব্যালকুনিতে চেয়ারে বসে একসাথে চা শেয়ার করব।
রাতে সমস্ত কাজ সেরে এক বিছানায় তোমার সোহাগে মাখামাখি হবো।
মাথা যন্ত্রণা করলে তুমি কপালটা টিপে দিয়ে আলতো চুম্বনের পরশে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। একটাদিন আমি তোমাকে একান্তে এভাবেই পেতে চাই।
দ্বীপ মনে মনে ভাবে, সত্যিই তো। এইটুকু চাওয়া তো ওর অন্যায় নয়।
যৌথ পরিবারের সব কাজকর্ম সারা , নানারকম দায় দায়িত্ব পালন করতে করতে,মেয়েটা হাঁপিয়ে উঠেছে।
ঘুমাতে ঘুমাতে এতো রাত হয়ে যায়! ওদিকে অফিসের তাড়ায় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে হয়। এসব করাণে ওকে তো আলাদা করে সময় দিতেই পারিনা। সব কথা ভেবে দ্বীপ স্ত্রী’র আবদারে রাজি হয়ে যায়।
দ্বীপ : কোনদিন চাও বলো?
তুমি যেদিন বলবে।
আচ্ছা, বেশ বেশ। তাই হবে মহারানী। কোথায় যেতে চাও বলো ?
তুমি যেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করবে, সেখানেই আমি যেতে রাজি।
হুম, বুঝলাম। তবে পঁচিশে ডিসেম্বর ডেট ফিক্সড।
পঁচিশে ডিসেম্বর?
হুম ।
আচ্ছা, ঠিক আছে।
বৌমার কথাগুলো আড়াল থেকে শুনে শাশুড়ি মায়ের পিলে চমকে ওঠে ।
ছেলে দ্বীপ, অফিস থেকে ফিরলে, মা ছেলেকে বৌমার ব্যাপারে নালিশ করে,
” বঝলি দ্বীপ, বউমার ভাবগতি ভালো বুঝি না! ওর নিশ্চয়ই কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে।”
ছেলে মায়ের কথা শুনে অবাক।
কেন মা? কি হয়েছে?
বৌমা আজ ফোনে, ওই ছেলেটার সাথে নির্লজ্জর মতো কিসব প্রেমের গল্প করছিল! সেকথা আমি মুখে আনতে পারবো না রে!
তাইনাকি ?
হ্যাঁ রে বা বা।
ওরা পঁচিশে ডিসেম্বর কোথায় যেন ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছে।
দ্বীপ মায়ের কথা শুনে হো হো করে হাসতে থাকে।
মা, তোমার বৌমাকে তুমি এই চিনলে?
কেন রে! আমি কি ভুল কিছু বললাম?
মা, তোমার বউমা আমার সাথে ফোনে গল্প করছিল।
পঁচিশে ডিসেম্বর আমরা দুজন বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছি।
ছেলের কথা শুনে মা হতভম্ব।