ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূল কে সমর্থন নয়; সূর্যকান্ত
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে, এখনও বাকি রয়েছে পাঁচ দফার ভোট। তার আগেই বামেরা নিজেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করলো।বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান – ” এবার বিধানসভার নির্বাচনে ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূল কে কখনোই সমর্থন করবেনা বামেরা।কেননা বিজেপি ও তৃণমূল হচ্ছে একই মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে দেখা যাবে সরকার গড়তে বিজেপি ও তৃণমূল জোট বেঁধেছে।তাই এই দুটি দল থেকে সম দূরত্ব বজায় রাখে বামেরা।তৃণমূলের জন্মলগ্নে বিজেপি ও আরএসএসের ভূমিকা রাজ্যবাসী জানেন “। পাশাপাশি রাজ্যের ভোটারদের কাছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তৃণমূল এবং বিজেপি যাতে সর্বমোট আসনের অর্ধেক আসন না পায় তার আবেদনও রাখেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তবে মালদার এক কংগ্রেস নেতা সর্বপরি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী যেভাবে ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কংগ্রেস কে তৃণমূলের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তাতে সংযুক্ত মোর্চার অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা – সংযুক্ত মোর্চার বড় শরিক হচ্ছে বামেরা, পাশাপাশি কট্টর তৃনমূল বিরোধী হিসাবে রয়েছে আব্বাস সিদ্দিকি ভাইজানের আইএসএফ।সেখানে কংগ্রেসের ভূমিকা সেভাবে নেই বললেই চলে। তার উপর কেরল রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যেভাবে সিপিএম কে আরএসএসের সাথে হিংসাত্মক রাজনীতির ধারক ও বাহক হিসাবে তুলে ধরে ছিলেন।সেখানে বাংলার বাম নেতাদের কংগ্রেসের প্রতি খাতা-কলমে জোট ছাড়া জোট শরিকের আন্তরিকতা কতটা বাস্তবে আছে,তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়…