“এক দেশ, এক নির্বাচন”- করতে চাওয়া স্বেচ্ছাচারী সরকারকে উৎখাত করে যোগ্য জবাব দেওয়ার আহ্বান অভিষেক ব্যানার্জীর

Spread the love

“এক দেশ, এক নির্বাচন”- করতে চাওয়া স্বেচ্ছাচারী সরকারকে উৎখাত করে যোগ্য জবাব দেওয়ার আহ্বান অভিষেক ব্যানার্জীর

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- : মানুষের খাবার খাওয়া সহ রুচিবোধ সমস্ত কিছুতেই নিদান দিচ্ছেন প্রধান মন্ত্রী। মাছ খেলে নাকি হিন্দু বিরোধী। বেশিরভাগই মানুষজন মাছ, ডিম, মাংস খান। তাহলে সকলেই কি হিন্দু বিরোধী? মানুষের খাবার বা রুচিবোধ কি ঠিক করে দেবে বিজেপি?
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে “এক দেশ, এক নির্বাচন”- এজন্য এই স্বেচ্ছাচারী সরকারকে উৎখাত করতে হবে বলে এদিনের সভা মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী সহ সকল জনগণের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান তৃনমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে নানুর ব্লকের পাপুড়ি আল আমিন মিশন মাঠে শুক্রবার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক ব্যানার্জী।
উল্লেখ্য এদিনই নানুরের তৃনমূল কংগ্রেসের সভা থেকে প্রায় তিরিশ কিমি দূরে প্রধান মন্ত্রীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও জনসমাগম তথা ভিড়ের পরিসংখ্যানে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল ছিল অনেকটা ফাঁকা বল রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন।বোলপুর শান্তিনিকেতন প্রসঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জী বলেন- ফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দেয় বিজেপি। বাঙালি নোবেলজয়ী অমর্ত‍্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দেয় বিজেপি। তাই বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলি। কোলকাতায় বিদ‍্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে বিজেপি।বাংলার মানুষের বাড়ির, কাজের, রাস্তার টাকা আঁটকে রাখে।
চতুর্থ দফায় আপনারা বিজেপির কোমর ভাঙবেন। ভোট বাক্স খোলার সময় পদ্মফুলের পরিবর্তে যেন চোখে সর্ষেফুল দেখেন। আড়াই মাস আমি রাস্তায়। মানুষের চোখের ভাষা আমি পড়েছি। কেন্দ্রে এই সরকার থাকবে না। নতুন সরকার গঠন হবে। আর তাতে তৃণমূল কংগ্রেস অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
এদিন তিনি বলেন, এপ্রিল মাস থেকে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। আজ তিন তারিখ ব‍্যাঙ্কে চেক করে নেবেন। দেখবেন বর্ধিত ভাতা আপনাদের একাউন্টে ঢুকে গেছে। মায়েরা কারা কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পান হাত তুলবেন।হাত তুলতেই, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার ছবি তুলতে হবে না। এই হাজার হাজার মহিলাদের হাত তোলা ছবি তুলে প্রধান মন্ত্রীকে পাঠিয়ে বলুন। এরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান।
অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এদিন বলেন, চতুর্থ দফার ভোট দেওয়ার আগে সবাইকে একবার ভেবে দেখতে বলেন — এগারো সালের আগে সিপিএমের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে আপনাদের পাশে এই বিজেপি বা কোনদল আসে নি। শুধু তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। মনে করবেন, দুই হাজার সালে সূচপুর গণহত‍্যায় এগারোজন কৃষক হত‍্যার কথা। প্রধান মন্ত্রী আজ ভাষণ দিচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বলবেন শেষ কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *