এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার মৃত্যুর তদন্তে নামছে সিবিআই

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,


দুবছর আগেকার এক বাঙালি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে।রাজ্য পুলিশের মন্থর গতিতে তদন্তে চরম অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট এর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। তাই নির্দেশ জারির চার সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তভার  সিবিআই কে দেওয়ার পাশাপাশি সিবিআই যেন আড়াই মাস পর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কলকাতা হাইকোর্টের শাখা জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে ।গত বুধবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা (এসএসবি)আধিকারিক  রবীন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তা  নিয়ে মামলার শুনানি চলে।সেখানে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার তদন্তভার সিবিআই কে হস্তান্তর করার সময়সীমা বেঁধে দেন।পাশাপাশি নব নিযুক্ত তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যেন তদন্ত শুরুর আড়াই মাস পর হাইকোর্ট কে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। গত দুবছর ধরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ( এসএসবি -)  এর আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে রাজ্য পুলিশের কোন অগ্রগতি ঘটেনি বলে অভিযোগ ।তাই এই মামলার তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে।যেহেতু নিহত ব্যক্তি একজন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিক ছিলেন।তাই এই মামলার তদন্ত ঠিকমতো হওয়াটা বাঞ্চনীয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ২০১৮ সালে ১৭ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়ি এবং বাতাসিয়ার মধ্যবর্তী  রেললাইনের ধারে বাঙালি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ রায়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন, তা রাজ্য পুলিশের তদন্তে সেভাবে প্রকাশ পাইনি।নিহতর পরিবার এই ঘটনার সততা জানতে কলকাতা হাইকোর্টের শাখা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দারস্থ হন।গত বুধবার  হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে।সেখানে বিচারপতি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ( কলকাতা হাইকোর্টেরই শাখা)  এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। সেইসাথে আগামী  আড়াই মাস পর এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশজারি হয়।উল্লেখ্য, বাঙালি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সময় রাজনৈতিকভাবে অশান্ত ছিল উত্তরবঙ্গর একাংশ এলাকা।বিশেষত দার্জিলিং সহ শিলিগুড়ির একাংশ বরাবরই উত্তপ্ত ছিল।পাহাড়ের রাজনীতিতে কোন গোপন তথ্য জেনে ফেলার জন্যই কি পরিকল্পিত খুন, নাকি নিছকই রেলদুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন  এই গোয়েন্দা আধিকারিক?  তার উত্তর পেতে হয়তো লাগবে বেশ কয়েক মাস। উত্তরপূর্ব ভারতে দেশের সীমান্তবর্তী গোয়েন্দা আধিকারিক হিসাবে তিনি সেসময় ছিলেন কর্মরত….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *