মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু ,
; সোমবার সাতসকালেই তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য দেখা গেল সদর মঙ্গলকোটের বুকে। মঙ্গলকোটের নুতনহাট বর্ধমান বাদশাহী সড়কপথে নুতনহাট কৃষাণ মান্ডি ঢুকবার মুখে এক সেলুন দোকানের দেওয়ালে মঙ্গলকোটের স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে কংগ্রেসী ফ্লেক্স দেখা যায়।যদিও এই ফ্লেক্সটি ঘন্টা দুই – তিন ছিল ওই স্থানে। ফ্লেক্সটিতে উল্লেখ ছিল – ‘আমরা দুই দাদার অনুগামী’, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি ছিল বহরমপুর সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর ছবি।সৌজন্যে – মঙ্গলকোট অঞ্চল কংগ্রেস। যদিও জাতীয় কংগ্রেস মঙ্গলকোটের বুকে সাইনবোর্ড রুপে পরিণত। রাজ্যের সংখ্যালঘু নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে কেন এইরকম ফ্লেক্স পড়লো মঙ্গলকোটের বুকে, তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। আর কয়েকমাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন।তাই রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে। তবে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এহেন ফ্লেক্স কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসাবে দাবি করেছেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি করার জন্য এইরুপ কান্ড ঘটিয়েছে, তাতে সেভাবে পাত্তা দিতে রাজী নন সিদ্দিকুল্লাহ। ফ্লেক্সে জাতীয় কংগ্রেসের নাম থাকলে কোন ব্লক কংগ্রেস নেতা একইরকম ফ্লেক্স নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।তবে ফ্লেক্সটি তাদের করা এবং টাঙানো নয় বলেও জানানো হয়েছে। সোমবার সকালবেলা ছিল সাপ্তাহিক হাটের দিন, তাও মঙ্গলকোটের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শয়ে শয়ে এলাকাবাসী আসেন বাজারঘাট করতে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সোমবার ভোর থেকে দেখা যায় এই ফ্লেক্স টি।বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক গুঞ্জন ছড়িয়ে যায়।তাহলে কি মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় কংগ্রেসে দিকে ঝুঁকছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে মঙ্গলকোট জুড়ে।যেভাবে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তার উপর রাজ্যের আরেক দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডে কে ঘিরে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।সেখানে সোমবার সকালে এহেন ফ্লেক্স রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী কে নিয়ে নুতন গুঞ্জন তৈরি করে দেয়।একদিকে যাঁকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা, তিনি অর্থাৎ সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই ফ্লেক্স এর ব্যাপারে পাত্তা দিতে রাজী নন।বরঙ আগামী বিধানসভা ভোটে মঙ্গলকোটে জিতবার লিড বৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত তিনি।অপরদিকে জাতীয় কংগ্রেসের সৌজন্যে এই ফ্লেক্সে উল্লেখ থাকলেও কংগ্রেসের তরফে ফ্লেক্স টি তাদের নয় বলে দাবি করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের একাংশ এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে বিশস্ত সুত্রে জানা গেছে। বিধায়ক শিবিরের দাবি – ‘দল থেকে সিদ্দিকুল্লাহ সাহেব কে মঙ্গলকোটে আগামী বিধানসভার প্রস্তুতি নিতে বলে হয়েছে। তাতে বিপক্ষ শিবির বিজেপি কে না রেখে জাতীয় কংগ্রেসের সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফ্লেক্সটি করেছে। যাতে শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর উপর সন্দেহ করেন’। অপরদিকে ব্লক তৃণমূলের একাংশ জানাচ্ছেন – ‘ দলের কাছে গুরত্ব সেভাবে না পেয়ে ফ্লেক্স টি বিধায়ক শিবিরের কেউ করেছে। যাতে রাজ্যের অন্যান্য দলত্যাগী মন্ত্রীদের মতন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন দলনেত্রীর কাছে। যেভাবে গাঁজা মামলায় অনুগামীদের জেল থেকে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি সহ ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে নিজ অনুগামী কে বসানোর প্রতিশ্রুতি অনুগামীদের দিয়েছেন। তা কোনটাই পূরণ হচ্ছেনা বিধায়কের’। তর্ক বিতর্ক যাই হোক মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কংগ্রেসী ইতিহাস নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়ে গেছে এই ফ্লেক্স টি কে ঘিরে।