এলেবেলে জীবনের আমি
নার্গিস পারভীন (বাজেপ্রতাপপুর, পূর্ব বর্ধমান)
প্রেমে যতটা না বঞ্চিত হও তুমি
তারও বহুগুণ বঞ্চিত হই আমি!
নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকি
কুয়োর তলদেশে থাকা কুনোব্যাং’টার মতো
ভাবনার তলানিতে।
যেখানে প্রকট শব্দাশ্রুত ডাক আসে–
ঘন ঘন বসন্তের আগমনে
যেখানে বসন্ত দগ্ধ হয়ে ফিরে যায়
আমার পরিশুদ্ধ অবহেলায়।
মাটির গভীর থেকে উঠে আসা
উদ্বায়ী সোঁদা গন্ধ’টাকে মনে হয়
রুগ্ন পরিস্থিতির মেদহীন উপজীব্য!
হয়ে ওঠে কর্কশ স্বীকারোক্তি
শান্ত স্নিগ্ধ মুখের
আগাগোড়া বেমানান এক প্রদোষ।
অন্তরীক্ষে দু’দণ্ড একা হতে চাওয়ার বাহানায়
যখন নিজেকে খোলস মুক্ত করি
সাপেদের মত করে– গা ঘষে ঘষে
পরিপাটি করার সব চেষ্টাই যেন
ব্যর্থ হতে থাকে।
সময় শূন্য প্রতিটা দিনই
প্রতিশ্রুতি দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়;
মনে হয় সময়ের প্রতিটা পল
শুষে নেয় আরও বেশি
অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছের।
বারবার নিজেকে তিরস্কার করি
আড়াল করা আমাকে মেহনতের মঞ্চ থেকে।
যখন উপলব্ধি করি
উদাসীনতা আর প্রবঞ্চনা
নিজেকে কতখানি যে
ব্যর্থতার শেষ সীমায় পৌঁছে দিতে পারে
তা শুধু হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তকে
স্মরণ করলেই বোঝা যায়।
সদ্যোজাত একটা সকাল
যেমন করে পুড়তে থাকে–
প্রখর দুপুরের স্পর্শে
ইচ্ছেরা ও তেমনি ভিরমি খেতে থাকে
আমাকে দেখে–
যে নিরন্তর স্বপ্ন দেখায় কল্পনাতীত ভাবনায়!
স্বপ্নেরা স্বপ্ন হয়ে থেকে যায়,
নিছকই এলেবেলে জীবন হয়ে!!