এসআইআর আবহে মৃতের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, জামালপুর, পূর্ব বর্ধমান -:
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর শুরু হয়েছে। একে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদ মাধ্যম ও স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের পরস্পর বিরোধী মন্তব্য অনেকের মনে বিশেষ করে যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাই তাদের মনে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে একাধিক আত্মহত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবক্ষেত্রে মৃতের পরিবারের দাবি তাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকার জন্যেই তারা নাকি আত্মহত্যা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় ভাবে মৃতদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামের ওড়িশা পাড়ার বাসিন্দা বিমল সাঁতরা নামে জনৈক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে মৃত বিমল সাঁতরা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তামিলনাড়ুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন।পরিবারের দাবি এসআইআর আতঙ্কে বিষপান করে তিনি আত্মহত্যা করেন।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ৯ ই নভেম্বর মৃত বিমল সাঁতরার বাড়িতে তৃণমূলের একদল প্রতিনিধি যান এবং অসহায় পরিবারের হাতে তিন লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা এই অসহায় পরিবারের পাশে আছে সেই আশ্বাসও দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, স্থানীয় বিধায়ক অলোক মাঝি, জামালপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি মেহমুদ খান সহ স্থানীয় নেতৃত্ব।
পরে সামিরুল ইসলাম ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের মনে বিভিন্নভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে বাংলার মানুষ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। একটাও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বিজেপি যাতে কাটতে না পারে তারজন্য আমরা সতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে তারা বলেন আপনারা অযথা আতঙ্কিত হবেন না। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দিশাহীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিকভাবে সাধারণ মানুষ জবাব দেবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা দিল্লিতে ধর্ণায় বসব।
