এসএসসি দুর্নীতিতে মামলাকারীদের কাছে তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই,
সেখ নিজাম আলম ,
এসএসসি নিয়োগ মামলায় তদন্তে গতি ক্রমশ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির মামলাকারীর পক্ষে তিন জন সোমবার সকালে নিজাম প্যালেসে নথি জমা দিলেন। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মামলাকারীদের পক্ষে অনিন্দিতা বেরা, দীপঙ্কর মান্না এবং মিলন দাস তাঁদের দাখিল মামলার বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজির হন।জানা গেছে, সোমবার সকালে মামলাকারীদের পক্ষে নিজাম প্যালেসে যান অনিন্দিতা বেরা, দীপঙ্কর মান্না ও মিলন দাস। বেশ খানিকক্ষণ তাঁরা নিজাম প্যালেসে ছিলেন । এদিন সাবিনা ইয়াসমিনের নিজাম প্যালেসে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি। বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যেতে পারেন অন্য আর এক মামলাকারী ববিতা অধিকারী।সিবিআই সূত্রে প্রকাশ , তাঁরা ( মামলাকারীরা) যে নথি জমা দিয়েছেন, সেখানে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগের দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য রয়েছে। নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা ও ববিতা সরকারকে ডাকা হয়েছিল। গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিনকে ডাকা হয়। সোমবার অনিন্দিতা বেরা নিজাম প্যালেসে যান। সাবিনা ইয়াসমিন যাননি। ববিতা সরকারের বুধবার যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে ববিতার কী অভিযোগ রয়েছে, তা জানতে চাইছে সিবিআই । পাশাপাশি তাঁর কাছে কি নথি রয়েছে, তা চাওয়া হয়েছে। এসএসসির মেধা তালিকায় প্রথমে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম না থাকলেও পরে একেবারে প্রথম দিকে চলে আসে। এই অঙ্কিতা অধিকারী রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে। পর্যাপ্ত নম্বর না থাকার পরেও কীভাবে মেধা তালিকার শীর্ষে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম এল? এই অভিযোগে ববিতা সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে থাকে । এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কে। সিবিআই ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছিল। তাঁদের বেশ কয়েকবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এবার মামলাকারীদের ডেকে পাঠাল সিবিআই।অন্যদিকে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করতে আসরে নেমেছে ইডি। ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় কয়েক কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। কলকাতায় সিবিআই দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে চারটি মামলার এফআইআর ও যাবতীয় নথি চেয়েছে দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তর। সামনে সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সিবিআইয়ের রিপোর্ট পেশ করার কথা রয়েছে, তাই তদন্তের গতি আনতে এবার মামলাকারীদের কাছে তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই।