এস এস সি ২০১৬ প্যানেলে মেধার ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষা-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল নিয়ে সরব আইন অমান্য কর্মসূচিতে এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট

Spread the love

এস এস সি ২০১৬ প্যানেলে মেধার ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষা-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল নিয়ে সরব আইন অমান্য কর্মসূচিতে এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বেকারি মূল্যবৃদ্ধি আর সীমাহীন দুর্নীতিতে জনজীবন আজ বিপন্ন। চূড়ান্ত আর্থিক দুর্দশা দেশের কোটি কোটি মানুষকে অনাহার অর্ধাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে কোন উপায় না পেয়ে পরিবারকে পরিবার আত্মহত্যা মর্মান্তিক পথ বেছে নিচ্ছে। তার সঙ্গে বেড়ে চলেছে চরম দুর্নীতি। অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে অভিসরণীয় গণ আন্দোলন। স্বাস্থ্য থেকে দুর্নীতির নগ্ন চেহারা তুলে ধরেছে। দেশজুড়ে প্রতিদিন জীবন দায়ী ওষুধ সহ জাল ওষুধের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। দুর্নীতি শুধু স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই নয়। শাসক দল তাদের সরকার কয়লা চুরি, গরু চুরি চাকরি চুরি, রেশন, আবাস যোজনা দুর্নীতি, পঞ্চায়েত পৌরসভা থেকে শুরু করে সরকারি প্রশাসনের সর্বস্তরের দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ।এর বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদকে দমিয়ে রাখার জন্য সরকারি দলের সীমাহীন অত্যাচার চলছে। এই সমস্ত কথার প্রেক্ষিতে এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে রাজ্য ব্যাপী জেলায় জেলায় আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয় ৩ রা এপ্রিল বৃহস্পতিবার। সেই হিসেবে বীরভূম জেলা এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকেও জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে। এদিন ২০১৬ সালের এস এস সি পরীক্ষা প্যানেল থেকে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই নিয়েও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এদিন আইন অমান্য কর্মসূচির মাধ্যমে। সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য বিজয়কৃষ্ণ দলুই বলেন
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত উঠে যাচ্ছে। দেশে হাজার হাজার স্কুল বন্ধ হয়েছে।এ রাজ্যেও ইতিমধ্যে কয়েক হাজারি স্কুল উঠে গেছে। আরও ৮২০৭ টি সরকারি স্কুল উঠে যেতে বসেছে।এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রকে লক্ষ্য কোটি টাকা লুটের বাজারে পরিণত করেছে। মদ ও মাদকদ্রব্যের প্রসার ক্রমাগত বাড়ছে। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিজেপি সরকার আদায় করেছে।
আমরা মনে করি, তৃণমূল সরকারের শিক্ষা দপ্তর, সর্বোপরি সমগ্র মন্ত্রীসভার চূড়ান্ত দুর্নীতির জন্যই বর্তমান অবস্থার সৃষ্টি হল। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ যাদের ক্ষেত্রে পাওয়া গিয়েছে সেই সমস্ত শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মীদের কথা স্বতন্ত্র, কিন্তু যাঁরা স্বচ্ছতার সাথে যোগ্যতা প্রমাণ করে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়া অপ্রত্যাশিত, অত্যন্ত দু:খজনক এবং উদ্বেগের। এর সম্পূর্ণ দায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে, বিশেষ করে তার শিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রীকেই নিতে হবে। আমরা দুর্নীতিতে জড়িত নেতা-মন্ত্রী সহ সকল ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *