ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানাকে সঙ্গী করে ১০৭ বছরে পদার্পণ করলো মোহনবাগান বারোয়ারি ক্লাবের পুজো

Spread the love

ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানাকে সঙ্গী করে ১০৭ বছরে পদার্পণ করলো মোহনবাগান বারোয়ারি ক্লাবের পুজো

মৃত্যুঞ্জয় রায়,

শারদীয়া দুর্গোৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। প্যান্ডেল, থিম, মূর্তি, আলোকসজ্জা – সব কিছুতেই অভিনবত্ব আনতে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে চলেছে প্রতিযোগিতা। চারিদিকে থিমের ভিড়েও শতবর্ষ পেরিয়ে সাবেকিয়ানা এবং ঐতিহ্যকে অটুট রেখেছে উত্তর কলকাতার মোহনবাগান বারোয়ারি ক্লাব। ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ক্লাব। ক্লাবের নামের মধ্যেই রয়েছে বাঙালির আবেগ ও ঐতিহ্য। ক্রীড়াপ্রেমী বাঙালির কাছে ‘সব খেলার সেরা ফুটবল’। সমগ্র বাংলার মানুষের অহংকার মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব। ১৯১১ সালে খালি পায়ে ফুটবল খেলে অহংকারী ব্রিটিশদের দর্প চূর্ণ করেছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের শিবদাস ভাদুড়ী, বিজয়দাস ভাদুড়ীর মতো খেলোয়াড়রা। পরাধীন ভারতে যেন স্বাধীনতার আশ্বাস এনে দিয়েছিলেন এই খেলোয়াড়রা।
মোহনবাগান রো, মোহনবাগান লেন, কীর্তি মিত্র লেন, ফড়িয়াপুকুর (শিবদাস ভাদুড়ী স্ট্রিট) ঘিরে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের ঠিক আগেই যে অঞ্চল, সেখানেই রয়েছে মোহনবাগান বারোয়ারি ক্লাব। জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান ক্লাবের জন্ম এই জায়গায়। ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ড জয় করা বাঙালি খেলোয়াড়রা এই পাড়াতেই ফুটবল প্র্যাকটিস করতেন।

মোহনবাগান বারোয়ারী ক্লাবের পুজোর কর্মকর্তা অরিন্দম দত্ত জানান, ” এ বছর আমাদের ১০৭তম বছরের পুজো। গত ১০৬ বছর ধরে নিষ্ঠাভরে সাবেকিয়ানা বজায় রেখে পুজো করে চলেছি। খুবই অনাড়ম্বর ভাবে পুজো হয়। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে পুজো হয় বলে আমাদের এখানেই প্রতি বছর পুষ্পাঞ্জলি দেন বিধায়ক ও কলকাতা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র ও মেয়র ইন কাউন্সিল তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা অতীন ঘোষ। তিনি আমাদের পুজোর চেয়ারপার্সন। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আমাদের পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *