কন্যার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ করল হলদিয়ার মাইতি দম্পতি
নীহারিকা মুখার্জ্জী
হলদিয়ার মাইতি দম্পতি বাহাদুর-মীনাক্ষীর একমাত্র কন্যা মেঘনা।আইনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সে। গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর ছিল তার জন্মদিন। যেহেতু একমাত্র কন্যা তাই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের উপস্থিতিতে চিরাচরিত প্রথা মেনে কেক কেটে, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ বলতে বলতে মোমবাতি নিভিয়ে খাওয়ার মধ্যে দিয়ে জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানের গল্পটা শেষ হতে পারত। কিন্তু মাইতি দম্পতি ও মেঘনার ভাবনাটা ছিল অন্য রকম। তারা প্রত্যেকেই পরিবেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল তাদের কর্মের মধ্যে দিয়ে।
জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে মাইতি পরিবারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রায় ৬০ টি চারাগাছ। মাইতি পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে, বিজ্ঞান মঞ্চের উদ্যোগে এবং বরদা রেলওয়ে স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেড পার্থ চ্যাটার্জ্জীর সহযোগিতায় ১৭ ই সেপ্টেম্বর বরদা স্টেশনের চারপাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। লক্ষ্য স্টেশন চত্বরটি শ্যামল, শোভন ও সুন্দর করে গড়ে তোলা।
বৃক্ষরোপণের সময় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের উৎসাহ ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে হাত মেলায় মাইতি পরিবার। তরুণী মেঘনা রঙিন প্রজাপতির মত ডানা মেলে প্রতিটি বৃক্ষরোপণের জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার উপস্থিতি যেন বৃক্ষরোপণে রত দাদা-কাকাদের মধ্যে বাড়তি প্রেরণা যোগায়। সে নিজেও কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করে।
লাজুক মেঘনা হাসিমুখে বলল - সত্যি এএক আলাদা অনুভূতি। চারদেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে বৃক্ষরোপণের মধ্যে যে এত আনন্দ পাওয়া যেতে পারে সেটা বাইরে না এলে বুঝতে পারতাম না। সুযোগ পেলে আবার আসব।
অন্যদিকে পার্থ বাবু বললেন – জন্মদিনের আনন্দ মুখর পরিবেশের মত এই বিশ্বকে সবুজে ভরিয়ে দিতে সবাই এগিয়ে আসুন, নিজেদের সাধ্যমতো অন্তত একটা করে বৃক্ষরোপণ করি। দূষণ মুক্ত পরিবেশ পেয়ে প্রকৃতি হাসবে, হেসে উঠবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম।