ক্ষনিকের জন্য,
ইন্দ্রানী গুপ্ত,
ক্ষনিকের জন্য মন ছুঁয়ে যায়,
গাড়ির চাকাটা যখন ছুটে চলে,
কোনও দূর সীমানায়,
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে,
স্বাধীন পাখির ডানার মতো,
ইচ্ছে করে,যেন আমি মুক্ত,
হারিয়ে যাওয়ার নেই কোনও মানা,
নেই উদ্বেগ,নেই কোনও বন্দি জীবন,
মনের শত উল্ল্যাসে,শুধু হারিয়ে যাওয়া,
সেই ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে,
আসলে দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য
ক্ষণিকের জন্য হলেও,
ঠিকানা চাই,উদ্দেশ্য চাই,
সঙ্গী চাই,
এবং
চাই একজন ভ্রমণকারী,
পথের সঠিক পরিমান জানা আছে যার,
দিনক্ষণ ঠিক করে বসে আছেন বিধি,
নিয়মতো কালঘড়ির ব্যস্ততম কাঁটা,
তাল মেলাতে ক্লান্তির চাপে,
নিজেকেই ভুলেছি,
হারিয়েছি কতগুলো,
মধ্যবিত্ত মনো কামনা,
আমাদের বেড়াতে যাওয়াটা কেবলই বস্তুময়
একটা দীর্ঘ পথ,
কেবলই জটিলতার শিকারে দৌড়ে চলে,
দিনের শেষে সামান্যতম বিশ্বাসের আঁচ পেলেও,
একটা নিঃশ্বাস অসমাপ্ত পথে পরিচালিত হয়,
ক্ষণিকের জন্য,
তবুও থামা যাবেনা,
ছুটে চলেছে গাড়ি,
ব্যস্ত সকল রাস্তাঘাট,
গাড়ি ঘোড়া যেন অবিরত ফিসফিস,
নক্ষত্র গুলো যেন আকাশ থেকে সরে যায়,
অন্য এক ভুবনে,
দ্বীপ্তিময় চাঁদের চাহনি ,
আমাকে আরোও মোহিত করে,
আত্মার ডানায় ভর করে,
পারি জমাই অচেনা কোন দেশে,
আমি ছুটে যাই,সমুদ্রের মাদকতার চাদরে,
আমি ছুটে যাই স্যাঁতস্যাঁতে এক কুয়াশার শহরে,
আমি দূরে ছুটে যাই ক্ষনিকের জন্য,
যেমন রাতপাখিদের নিয়ত শোভা,
অদৃশ্য কাতরে,
হাড়ে কাঁপন লাগা শীতের রাতে,
দুর্ভেদ্য ঘন,এক কুয়াশা কেটে কেটে,
ব্যস্ত মফস্বলের আঁকা বাঁকা রাস্তায়,
অদ্ভুত এক পবিত্র চাহুনি,
ছমছমে এক রাতের আঁধারি,ঘোমটার আড়ালে,
তবুও আছে,কিছু হেমলক লতা ছড়ানো কান্না জল,
তাই ক্ষনিকের জন্য হলেও,
নীরবে বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে,
থোকা থোকা বর্ণচোরা প্রহরের সেই আবডালে,
যখন নীরবে দূরে ,
দাঁড়াও এসে, যেখানে পথ বেঁকেছে,
তোমায় ছুঁতে চাওয়া মুহূর্তরা,
কে জানে ,কী আবেশে দিশাহারা,
আমিও ছুটে যাই,সে গভীরে,
আমিও ধেয়ে যাই, কী নিবিড়ে,
তুমি কি,মরীচিকা,না ধ্রুবতারা……..
মানুষের জীবন একটা পাখির মতন আজ এখানে তো কাল সেখানে,আমরা ভেসে বেড়াই এ প্রান্তে থেকে ও প্রান্তে,জীবনে মাঝে মাঝে ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় ,তবুও রাতে ফিরতে হয় নিজের নীড়ে,আবার ভোর হয় আবার ছুটে চলতে হয় কর্মের খোঁজে,ভোরের আলোয় ক্ষণিকের জন্য খুঁজে পাক মানুষ তার নীরবে দূরে থাকা ভালোলাগার কিছু মুহূর্ত যা ছুঁতে পারুক একান্তে,ক্ষনিকের জন্য হলেও…