কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমনীষী চর্চা কেন্দ্র

Spread the love

কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মনীষী চর্চা কেন্দ্র


ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
২৩ মে ২০২৫,শুক্রবার

একটি বিশেষ প্রতিবেদন

সকাল থেকেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আজ যে মনীষী চর্চা কেন্দ্রের দ্বাদশতম কবি প্রণাম ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার হলেও গরমের দাপট কিন্তু একইরকম। স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে রওনা হলুম ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম অভিমুখে। কোথাও কোথাও স্বল্প বৃষ্টির পূর্বাভাস পরিলক্ষিত। ভয় হলো হঠাৎ বৃষ্টি সব মাটি না করে দেয়। সোয়া ৪টের মধ্যে পৌঁছে গেলুম নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। তখনও মঞ্চসজ্জার কাজ অব্যাহত। এদিকে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পৌঁছে গেলেন এদিনের প্রধান অতিথি প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও গায়ক ডাঃ রাজা রায়। নির্দিষ্ট সময়ের ১০ মিনিট পরে অনুষ্ঠান শুরু হয় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে। শুরুতে আমাদের সংস্থার জন্মলগ্নের সাথী আমাদের অত্যন্ত কাছের মানুষ স্বপন কুমার চৌধুরী স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাগত ভাষণে সংস্থার সভাপতি ‘রবীন্দ্রনাথ আজও কেন প্রাসঙ্গিক’ তা তুলে ধরেন। মাননীয় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ‘আমরা দিনে দিনে কীভাবে ভীষণ একা হয়ে যাচ্ছি’ ব্যাখ্যা করেন। প্রধান অতিথির হাতে সংস্থার বার্ষিক মুখপত্র শ্রয়ণ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রকাশিত হয় শতবর্ষে সলিল চৌধুরী বিষয়ক দেয়াল পত্রিকা রোদ্দুর। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা বিষয়ক একটি গ্রন্থ প্রধান অতিথির হাতে তুলে দেন সংস্থার সভাপতি শ্রী শ্যামল কুমার মিশ্র। এরপর নাচে-গানে শ্রুতি নাটকে এগিয়ে চলে এ দিনের অনুষ্ঠান। শেষে অনুষ্ঠিত হয় রঙ্গালয়ে শ্রীরামকৃষ্ণ। নাটকটির মূল কাহিনী ব্রজেন্দ্র কুমার দে র। সময়ের স্বল্পতার কারণে নাটকটির খন্ডাংশ অভিনীত হয়। প্রত্যেকেরই অভিনয় ভীষণ ভালো লাগলো। একরাশ ভালোলাগা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম কিন্তু কানে যেন তখনও বাজছে শ্রীরামকৃষ্ণের সেই কথা চৈতন্য হোক। জানিনা আমাদের সেই চৈতন্য কবে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *