করোনার থাবায় আগামী সপ্তাহে বন্ধ থাকছে হাইকোর্ট
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর আবেদনের উপর ভিক্তি করে আগামী ৩০ মার্চ,৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল বন্ধ রাখা হচ্ছে হাইকোর্টের যাবতীয় কাজকর্ম। আগামী ২৯ মার্চ এবং ২ এপ্রিল রাজ্যে দোল (হোলি) এবং গুডফ্রাইডে উৎসব উপলক্ষে ছুটি রয়েছে। তাই আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী সপ্তাহ বন্ধ থাকছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর করোনা রোধে এবং জীবাণুমুক্ত করার লক্ষে হাইকোর্টের প্রশাসন বিভাগ এই তিন দিন বন্ধ রাখাতে সায় দিলেও তার পরিবর্তে আগামী ১৭ এপ্রিল, ১৫ মে এবং ১৯ জুন তারিখ (শনিবার) গুলিতে বিচারপ্রক্রিয়ার গতি আনতে আইনজীবীদের কাছে অনুরোধ রেখেছে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ। কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি অশোক কুমার ঢনঢনিয়া সাহেব জানিয়েছেন – ” আমরা ওইদিন গুলিতে কাজকর্ম করব কিনা, তা নিয়ে অনলাইন আলোচনা চালিয়ে মতামত দেব”। মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ গেছে এবং অবিরাম যাচ্ছে। আমাদের দেশ কিংবা এই রাজ্য তার ব্যতিক্রম নয়।করোনার প্রথম ঢেউ কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। করোনা প্রতিরোধে আগামী দিনে পুনরায় লকডাউনের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। কেননা করোনা ভাইরাস নির্মূলে এখনও অবধি কোন দিশা দেখছেনা বিশ্বের চিকিৎসামহল।সম্প্রতি ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস’ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে চিঠি দিয়ে বিধানসভার ভোটে করোনা সংক্রমণের তীব্র আশংকা প্রকাশ করেছিল।তাতে সেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চিকিৎসকদের এই সংগঠন কে প্রতুত্তরে কোন কিছুই জানাইনি।তাই তারা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করেছেন জনস্বার্থ মামলা।গত চব্বিশ ঘন্টায় ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।প্রতিদিনে যেখানে ৪৬২ জন মত আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়, সেখানে কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৩ জন)। এখনও অবধি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ১১৭ জন সুস্থ হয়েছেন।সংক্রমনের হার যেখানে ছিল ১.৩৫% তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ %।কলকাতাতে পজিটিভ সংখ্যা ৩.০৮%। এরপরেই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা সহ ১৯ টি জেলা।এই সমীক্ষাটি রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের আভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উল্লেখিত। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশন এর তরফে প্রধান বিচারপতির অফিসে (রেজিস্ট্রার জেনারেল) আগামী ৩০ মার্চ,৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল হাইকোর্ট কে করোনা রোধে জীবাণুমুক্ত করার জন্য বন্ধ রাখবার আবেদন জানানো হয়। সেখানে হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়।পাশাপাশি এই তিনদিনের পরিবর্তে আগামী ১৭ এপ্রিল, ১৫ মে এবং ১৯ জুন শনিবার গুলিতে হাইকোর্ট সচল রাখার জন্য আইনজীবীদের অনুরোধ করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।আগামী ২৯ মার্চ এবং ২ এপ্রিল দোল এবং গুডফ্রাইডে উপলক্ষে ছুটি। তাই বলা যায় আগামী সপ্তাহ বন্ধ থাকছে হাইকোর্ট।