মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
গতবছরের বীভৎস স্মৃতি যেন ফিরতে চলেছে আবার।সৌজন্যে মারণ ভাইরাস করোনার অতি সক্রিয়তা।করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্ষপূর্তি পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে কোনায় কোনায়। ইতিমধ্যেই এইমস প্রধান মাইক্রো লকডাউন জারি করে সর্বাধিক টেস্টিং ট্রেসিং এবং আইসোলেশনে রাখবার পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তজার্তিক বিমান পরিষেবায় কড়া নিয়ন্ত্রণে রেখেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বাণিজ্যনগরী মুম্বাই সহ মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে নিশি লকডাউন।অর্থাৎ নাইট কার্ফু। পাশাপাশি সপ্তাহের একটি দিন চলছে পুরোদমে লকডাউন।যা আগামী ৩০ এপ্রিল অবধি বহাল থাকবে করোনা পরিস্থিতি কে মোকাবিলা করতে।এই মুহূর্তে সারাদেশের মধ্যে মহারাষ্ট্র তে করোনায় মৃত্যুর হার সর্বাধিক বেশি।তাই আগামী দিনে টানা লকডাউনের পথে চলতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া সবকিছুই কড়াকড়ি হবে।এইরুপ পরিস্থিতিতে বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ি ফিরবার প্রস্তুতিও তুঙ্গে। চলতি সপ্তাহে সব কটি দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট বুক হয়ে গেছে। তবুও মুম্বাইয়ের লোকমায়া তিলক টামিনার্স, ছত্রপতি মহারাজ টামিনার্সে প্লাটফর্মে দিনরাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে যাওয়ার ট্রেনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছেনা।রেলের ফাইন দিয়েও বাড়ি ফিরতে চান এইসব পরিযায়ী শ্রমিকরা। যদিও রেলের তরফে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে বৈধ যাত্রীদের তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অযথা প্যানিক তৈরি না করার আবেদন জানানো হয়েছে রেলের তরফে।