করোনা আবহে কিভাবে নির্বাচন? দাখিল জনস্বার্থ মামলা
মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
‘প্রাণ আগে না ভোট আগে?’ ‘ভোটারের জীবন আগে না রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতাদখল আগে?’ এইরূপ নানান প্রশ্ন উঠছে আম জনতার মাঝ থেকে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে করোনা আবহে কিভাবে নির্বাচন, তা প্রশ্ন রেখে দাখিল হলো জনস্বার্থ মামলা।এই মামলা আদালত গ্রহণ করেছে।চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন শমিক বাগচি মহাশয়। করোনার থাবায় বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ গেছে।আমাদের দেশ কিংবা এই রাজ্য তার ব্যতিক্রম নয়।করোনার প্রথম ঢেউ কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে দিশেহারা বিশ্ব।আগামী দিনে পুনরায় লকডাউনের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে। কেননা করোনা ভাইরাস নির্মূলে এখনও অবধি কোন দিশা দেখছেনা চিকিৎসামহল।সম্প্রতি ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস’ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কে চিঠি দিয়ে বিধানসভার ভোটে করোনা সংক্রমণের তীব্র আশংকা প্রকাশ করেছিল।তাতে সেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন চিকিৎসকদের এই সংগঠন কে প্রতুত্তরে কোন কিছুই জানাইনি।তাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করা হলো জনস্বার্থ মামলাটি বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচি।গত চব্বিশ ঘন্টায় ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখনও অবধি ৫ লক্ষ ৮১ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ১১৭ জন সুস্থ হয়েছেন।সংক্রমনের হার যেখানে ছিল ১.৩৫% তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ %।কলকাতাতে পজিটিভ সংখ্যা ৩.০৮%। এরপরেই রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণা সহ ১৯ টি জেলা।এই সমীক্ষাটি রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের আভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উল্লেখিত। তাই আট দফার ভোটগ্রহণ পর্বে করোনা সংক্রমণ এড়াতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কি হস্তক্ষেপ বা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবে তা জানতেই এই মামলা।আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছে বলে জানা গেছে।