মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু),
দীর্ঘ ৭ মাস পর বুধবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে। তবে তা করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে পুজো মরসুমে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার প্রস্তাবনা রাখলো৷ বিশেষত কালিপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনে চন্দননগর রেলরুটে।করোনায় এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক কিংবা টিকা আবিস্কার ঘটেনি৷ তাই সার্বিক জনস্বার্থে লোকাল ট্রেন কালিপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনে বন্ধ রাখার জন্য পর্যবেক্ষণে উল্লেখ রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। কেননা দক্ষিণবঙ্গে চন্দনগরে বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ দর্শকের সমাগম ঘটে হুগলির এই শহরে৷ মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ছটপুজোয় রাজ্যের পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা,শব্দবাজি সহ পুজোয় ট্রেনে বিপুল ভীড়ের আশংকায় নির্দেশজারি ( গাইডলাইন) নিয়ে বেশ কিছু মামলা শুনানির জন্য উঠে। এদিন ছটপুজোতে শোভাযাত্রাতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে হাইকোর্ট। যেভাবে শোভাযাত্রায় ডিজে বাজে, বাজি ফাটে তাতে করোনা আবহে তা উচিত নয় বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতায় ৩৮০ টি ছটপুজোয় চিহ্নিত ঘাট রয়েছে। এছাড়া শিলিগুড়ি – দুর্গাপুরে বিহারি সম্প্রদায়ের মানুষজন ছটপুজোয় মেতে উঠেন। রাজ্যের কি পরিকাঠামো রয়েছে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে কি পরিকল্পনা তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনি। এতে রাজ্যের কড়া ভৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের আইনজীবী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সকলে মাস্ক পড়বেন বলে এদিন এজলাসে জানান। তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। শব্দবাজি রোধে পুলিশি ভূমিকা আরও কড়া হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিচারপতি। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী , রাজ্যের নুঙি, চাঙ্গাহাটি, বড়বাজারে কিভাবে শব্দবাজি অবাধে বিক্রি চলছে, তা জানতে চান বিচারপতি। বিচারপতি শব্দবাজি অভিযানে টাস্ক ফোর্স গঠন করার পরামর্শ দেন রাজ্য কে৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের এই বেঞ্চ শব্দবাজি বিক্রি সহ বাজি ফাটানোতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। পাশাপাশি দুর্গাপূজার মতন শ্যামাপুজো অর্থাৎ কালিপুজোতেও দর্শকশুন্য রাখার নির্দেশিকা জারি করে। তবে মন্ডপের আয়তন অনুযায়ী পুজো কমিটির লোকেদের মন্ডপে ঢুকবার নিদিষ্ট সংখ্যা গড়ে দেন। পাশাপাশি নো এন্ট্রি জোনের সীমারেখাতেও নিদিষ্ট গন্ডি বেঁধে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।