মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে কালীপূজা নিয়ে জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি চলে। সেখানে বিগত দুর্গাপূজার মতনই আসন্ন কালীপূজোয় সমস্ত বিধিনিষেধ বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্গাপূজাতে রাজ্যসরকারের ভূমিকায় একপ্রকার খুশি ডিভিশন বেঞ্চ।করোনা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে রাজ্য সরকার ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে বলে হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ রেখেছে। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণ এড়াতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। এবারের কালীপুজোয় ৩০০ বর্গমিটার মঞ্চের ৫ মিটার দূরে ‘নো এন্ট্রি’ জোন থাকবে। একসাথে ১০ জন ঢুকতে পারবেনা।৩০০ বর্গমিটারের বেশি মন্ডপেও ৫ মিটার দূরে নো এন্ট্রি জোন রাখতে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। তবে এখানে ৪৫ জন ঢুকতে পারবে মন্ডপের ভেতরে।কালীপুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবেনা বলে কলকাতা হাইকোর্ট অন্তবর্তী নির্দেশে জানিয়েছে। রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে পুজো কমিটি গুলিকে বিসর্জন করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণ এড়াতে বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। তাতে কলকাতা হাইকোর্টও সায় দিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে কালীপুজো থেকে ছটপুজো অবধি বাজি পোড়ানো এবং বাজি বিক্রি করা যাবেনা। পুলিশ কে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ছটপুজোয় জলাশয় গুলিতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য সিসিটিভি লাগাবার আবেদন রাখা মামলায় শুনানি ছিল এই ডিভিশন বেঞ্চে।১০ নভেম্বর ছটপুজো নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে রাজ্য সরকারের কাছে জলাশয়ের পরিকাঠামোগত অবস্থান জানতে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।