মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের লকডাউন চালু রয়েছে। সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ বলা যায়।সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে সড়ক রুটের যাত্রীবাহী বাস।মেট্রোরেল থেকে লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ বলা যায় । তবে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন এবং কিছু ক্ষেত্রে সরকারি বাস চলছে।লকডাউনের প্রথম ধাপে রেলে রাজ্য সরকারের জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের ট্রেনে চাপার ছাড়পত্র ছিল না।তবে বর্তমানে পুলিশ, ব্যাংক, আদালত, টেলকম প্রভৃতি সংস্থার কর্মীদের রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনে চাপার অনুমতি দিয়েছে। হাওড়া স্টেশন কিংবা শিয়ালদহ স্টেশন যথেষ্ট জমজমাট বলা যায় এইসব ট্রেন যাত্রীদের সৌজন্যে। তবে স্টেশনের বাইরে ধূ ধূ মাঠ বলা যায়।কেননা নেই সেইরকম জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী স্টাফদের নিয়ে যাওয়ার মত বাস।একপ্রকার বাধ্য হয়েই ট্যাক্সিতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। তবে ট্যাক্সি চালকদের একাংশের মধ্যে এক চক্র গড়ে উঠেছে রাস্তায় পুলিশের সেভাবে উপস্থিতি না থেকে।ট্যাক্সি চালকদের বেশিরভাগ ‘শেয়ার’ যাত্রী নিচ্ছেন। এই শেয়ার ট্যাক্সিতে থাকা যাত্রীরা একে অপরকে চেনেনা।তাই ট্যাক্সি চালকদের মদতে শেয়ার যাত্রীর ছদ্মবেশে কোন দল গড়ে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষত জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত মহিলা যাত্রীরা এদের টার্গেট বলে অনেকেই আশংকা করছেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে লালবাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে এক মহিলা কর্মী এইরুপ শেয়ার ট্যাক্সিতে উঠেন গিরিশপার্কে যাওয়ার জন্য। উঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্যাক্সি চালক ওই মহিলা কে যেনতেন প্রকারে মিস্টি খাওয়ানোর চেস্টা চালান বলে দাবি। এমনকি ওই মহিলা কে গিরিশপার্ক ছাড়িয়ে অন্য রুটে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা হয়। তবে ওই মহিলা স্টাফ কড়া মেজাজ দেখিয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে যান।কলকাতার বিভিন্ন ট্রাফিক মোড়ে পুলিশের সেইরকম উপস্থিত না থাকায় এই অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।তবে কলকাতা পুলিশ সুত্রে জানা যায় – ‘পুলিশ সদা সর্তক অপরাধ দমনে’।চলতি সময়কালে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে যেভাবে জরুরি পরিষেবা কারী স্টাফদের রেলে যাতায়াত করার ছাড়পত্র মিলেছে, সেই তুলনায় রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় বাস নেই হাওড়া – শিয়ালদহ এর মত গুরত্বপূর্ণ স্টেশনের সামনে।একপ্রকার বাধ্য হয়েই শেয়ার ট্যাক্সিতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে নিজ কর্মস্থলে পৌছাতে হচ্ছে।রাস্তাতেও পুলিশের স্বাভাবিক উপস্থিতি নেই।যার ফলে ট্যাক্সি চালকদের একাংশের মধ্যে ছিনতাই – লুটপাট করার অপরাধ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মহিলা যাত্রীদের একাংশ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে জানাচ্ছেন।তাঁরা বিভিন্ন ট্রাফিক মোড়ে পুলিশের ঠিকঠাক উপস্থিতি এবং ট্যাক্সি চালকদের উপর বাড়তি নজরদারি চেয়েছেন।