গোপাল দেবনাথ,
গত বছর ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া করোনা অতিমারীর ঢেউ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের মানুষের মৃত্যু দেখেছে আমাদের দেশ তথা আমাদের রাজ্যও। বহু প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের আমরা মৃত্যু মিছিল দেখেছি। অকালে চলে যেতে দেখেছি ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সাফাই কর্মী, বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে বহু অল্পবয়সী সাংবাদিকদের মৃত্যু আমাদের হৃদয় নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। যদিও সেই সময় টা ছিল ভ্যাকসিনের আবিষ্কার পর্ব। গত অক্টোবর মাস থেকে ভাবা গিয়েছিল বোধহয় করোনা অতিমারীর প্রকোপ থেকে মুক্তি পেলাম আমরা। কিন্তু না আমাদের সমস্ত রকম ধ্যান ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হাজির হয়েছে দেশ জুড়ে। আবার আমরা মৃত্যুমিছিল দেখতে পাচ্ছি। যদিও রোগ প্রতিরোধ এবং মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে এই ভ্যাকসিন প্রথমে ৬০ বছর বয়সের উর্দ্ধে দেওয়া হচ্ছিল। এরপর মাঝবয়সী অর্থাৎ ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়া চালু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকে। এরপর ১লা মে থেকে শুরু হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মানুষের টিকাকরণ। সকল শ্রেণীর সাংবাদিকদের কথা ভেবে কলকাতা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঐকান্তিক ইচ্ছায় এবং সাংবাদিকদের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় করোনা অতিমারী কে পরাস্ত করতে এবং অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাজ্যের অতিমারীর সতর্কতা বিধি মেনে ১৮ বছরের উর্দ্ধে সকল শ্রেণীর পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে কয়েকশো সাংবাদিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হলো। প্রেস ক্লাবের সদস্যরা যে দ্রুততার সাথে একটি ভালো কাজের নজির সৃষ্টি করলেন এই কাজের জন্য তাদের কুর্নিশ জানাতেই হয়।