কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসের চেস্টায় বঞ্চিত কনস্টেবলদের প্রমোশন লাভ

Spread the love

তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া কনস্টেবলদের প্রমোশন দিলো রাজ্য

মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও সাংবাদিক মুকুল বিশ্বাসের লাগাদার আইনী নোটিশ ও আরটিআই করার ফলে ২২৫ জন পুলিশ কনস্টেবল এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে প্রমোশন পেলেন।চলতি মাসে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (অরগানাইজেশন) কনস্টেবল দের এএসআই পদে প্রমোশন কার্যকর হয়েছে তা চিঠিতে অবগত করেছেন অভিযোগকারী আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস কে। অস্বচ্ছ, বেনিয়মের নানান তথ্য দিয়ে গত বছর পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন মুকুল বাবু।গত বছর  রাজ্য পুলিশের পদোন্নতি নিয়ে এই আইনজীবী অনিয়মের অভিযোগটি তুলেছিলেন । এই আইনজীবী পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী , মুখ্যসচিব সহ ডিজিপি কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের পদোন্নতির তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছিল । গত বছর এক হাজার কনস্টেবলের পদোন্নতির তালিকা প্রকাশ করে ‘স্ক্রটিনি বোর্ড’ গঠন করে রাজ্য পুলিশ।গত বছর   নভেম্বর মাসের ১০ থেকে ১৩ তারিখ বিভিন্ন জেলায় তালিকা ভুক্তদের প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। তবে  এই পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সেসময় পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি কে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস মহাশয় । চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, -“২০১৮ সালে এএসআই পদের জন্য ৪৮২ জন কনস্টেবল পিপিটি ট্রেনিং সফলভাবে পাশ করেন। তবে  এতদিন পর্যন্ত তাদের নিয়োগ করা হয়নি। এবারের তালিকায় কোনও কারন ছাড়াই বাদ দেওয়া হয়েছিল ২২৫ জনেরর ট্রেনিং প্রাপ্তদের নাম। স্বভাবতই এই বৈষম্য নিয়ে কনস্টেবলদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে”।চিঠিতে আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, – ‘এক হাজার জনের তালিকাভুক্তদের জন্ম তারিখ, চাকরিতে যোগ দানের তারিখ, কোনও শাস্তি আছে কি না তা স্ক্রুটিনি বোর্ড উল্লেখ করেনি। সিনিয়র কনস্টেবলদের গ্রেডেশন লিস্ট ছাড়াই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তালিকায় সিনিয়র কনস্টেবলদের বাদ দিয়ে অনেক জুনিয়র কনস্টেবলদের নাম রাখা হয়েছিল। এছাড়া চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখ এক থাকলেও অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের ১৬ বছর চাকরি হয়েছে। পিপিটি ট্রেনিংয়ে পাশও করেছেন। কিন্তু তালিকায় তাদের পরিবর্তে ১৪ বা ১৫ বছর চাকরি করছেন, এমন জুনিয়র কনস্টেবলদের নাম রয়েছে”। এই তালিকা বাতিল করে সঠিক ও স্বচ্ছভাবে নতুন তালিকা তৈরির আবেদন করেছিলেন এই আইনজীবী।কোন প্রশাসনিক সদুত্তর না পেলে এই বিষয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন।  তবে মামলার দরকার হলনা, সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের নুতন প্রমোশনের তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া ২২৫ জন পুলিশ কনস্টেবল দের কে এএসআই পদে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অনেকেই নুতন পদে যোগও দিয়েছেন। এহেন পুলিশি সক্রিয়তায় খু্শি ওই আইনজীবীও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *