মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
রাজ্য রাজনীতিতে বিগত কয়েকমাস ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শুভেন্দু অধিকারী। গতবছরের ডিসেম্বর মাসের আগে যেমন তাঁর দলবদল নিয়ে চরম জল্পনা চলছিল।ঠিক তেমনি গতবছরের ডিসেম্বর মাসের পর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর লাগাদার রাজনৈতিক ভাষণ এক নুতন মাত্রা এনে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে ।তৃণমূল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেদিন সোজা রাজভবনে গিয়েছিলেন নিরাপত্তার জন্য। যদিও কেন্দ্র সরকার তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করেছে। তিনি জুট কমিশনের চেয়ারম্যান পদও পেয়েছেন। যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদতূল্য। তবে ইদানীং বেশকিছু জনসভায় অশান্তিরকর ঘটনা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কে ঘিরে প্রাণ সংশয় করে তোলেছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তাঁর শারীরিক নিরাপত্তা প্রদানে পর্যাপ্ত হলেও বিভিন্ন জনসভা, পদযাত্রা সহ এই ধরনের কর্মসূচি পালনের আগে এবং পরে অশান্তির আশংকা সহ প্রাণসংশয়ের ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন শুভেন্দু।যাতায়াত পথে নিরাপত্তার পূর্ন দায়িত্ব থাকে রাজ্য পুলিশের। গত ৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের সভায় ইটপাটকেল ছোঁড়া থেকে পুরুলিয়ার কাশিপুরে জনসভা চলাকালীন কালো রঙের স্করপিও (তৃণমূলের পতাকা লাগানো) দুরন্ত গতিতে ঢুকে যাওয়া। তাছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত পূর্ব এবং পশ্চিম মেদনীপুরের বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ চলেছে ঘটেছে জনসভা থেকে আসা কিংবা জনসভায় যাওয়ার আগে অনুগামীদের গাড়িতে হামলা।এইবিধ নানান ঘটনায় প্রাণ সংশয়ের আশংকা করছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাত্র কয়েকমাস দেরি। তাই যতই নির্বাচন এগিয়ে আসবে আর ততই এইরুপ ষড়যন্ত্র গভীর হবে বলে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে তার বিভিন্ন সূত্রও মিলেছে।এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এসপি থেকে ওসিস্তরের পুলিশ অফিসারদের বদলী করেছে রাজ্য। এহেন রাজ্য পুলিশের পক্ষপাতীত্ব মূলক আচরণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সুবিচার চেয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের ডিজি সহ জেলার সমস্ত পুলিশসুপার, কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার দের এই মামলায় পক্ষ করা হয়েছে। শুভেন্দু বাবু তাঁর দাখিল করা পিটিশনে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন – ‘ রাজ্য পুলিশ কে যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক’। বিভিন্ন জনসভা যাওয়ার পথে, পদযাত্রা উক্ত জনসভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি তে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। এই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে হতে চলেছে বলে জানা গেছে।