মোল্লা জসিমউদ্দিন,
কয়েক মাস কাটলেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা শুরু হবে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের চারিদিকে জয়জয়কার হলেও রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে ভোট পর্ব নিয়ে।কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের আদালত অবমাননা নিয়ে সশরীর হাজিরার নির্দেশ জারি পর্যন্ত হয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকার ‘প্রশাসক’ হিসাবে নিজেদের নিরপেক্ষ রাখতে মরিয়া হবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যদিও সবকিছু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকবে তখন।তাই পুলিশ – প্রশাসনের বদলীতে বিতর্ক যাতে না হয়।এবং কোন অফিসার কে নিয়ে যাতে মুখ না পুড়ে রাজ্যের, সেই ব্যাপারে একটু বেশি সাবধানী হবে রাজ্য তা বলায় যায়।নির্বাচনে প্রশাসন অপেক্ষা পুলিশের প্রতি নজর থাকে রাজনৈতিক দলগুলির।কেননা বিরোধী দমনে পুলিশের কোন বিকল্প নাই, তা মনে করে অনেকেই। বিশেষত বিরোধী দল বিজেপির এইসব দমনকারী – অতিরিক্ত শাসকপ্রেমি অফিসারদের চিহ্নিতকরণ পর্ব শুরু করে দিয়েছে বলে সুত্র মারফত প্রকাশ। যাতে এইসব অফিসারদের অতীত রেকর্ড তুলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ করানো যায়।রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এইসব ব্যাপারে এককদম এগিয়ে। বিশেষত কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য কে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করে দিয়েছেন।বিশেষ সুত্রে প্রকাশ পূর্ব বর্ধমান জেলার দশের বেশি থানায় ওসি/আইসি পদমর্যাদা পূর্ণ অফিসার বদল হতে পারেন। শোনা যাচ্ছে,অজয় ও দামোদর নদ উপকূলীয় এইসব থানার অফিসাররা এখন ‘লাস্ট মিনিট সাজেশন’ এর মত বিভিন্ন পর্যায়ে সুপারিশ করছেন যাতে তাঁরা ভালো থানার দায়িত্ব পান।কোথাও বিধায়ক, আবার কোথাও শাসক দলের জাঁদরেল নেতাদের কাছে এইসব সুপারিশ নাকি করছেন ওইসব অফিসাররা।যদিও বদলীর ক্ষেত্রে কোন সুপারিশ খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা নেয় না বলে পুলিশের একাংশের মত।গত বিধানসভা নির্বাচনে যেসব অফিসাররা নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে শাস্তিমূলক পোস্টিং পেয়েছিলেন।তাঁদের অনেকেই বর্তমানে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে পৌঁছানোর অগ্নিপরীক্ষায় সফল হয়েছেন।
বিস্তারিত আসছে…