কালীপুজোর শুভ উদ্বোধন কাঁকড়তলা ও সদাইপুর থানা চত্বরে
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম
যথারীতি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোমবার রাতে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ আধিকারিক, বিধায়ক তথা বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কালীপুজোর শুভ উদ্বোধন হয়। সেরূপ কাঁকড়তলার থানা চত্বরে শান্তি বাহিনীর উদ্যোগে মা কালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এখানে ফিতে কেটে উদ্বোধন করলেন ডিএসপি ক্রাইম প্রতীক রায় ।শাস্ত্রীয় আচার মেনে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা ভক্তি সহকারে পুজিতা হন মা কালী।আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে থানা চত্বর।পুজো পরবর্তীতে চারদিনব্যাপী রয়েছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় থানা এলাকার কঁচিকাচাদের নিয়ে আবৃত্তি,অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ, নৃত্যানুষ্ঠান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়। বিশেষ উল্লেখ্য অঙ্কনের ক্ষেত্রে সচেতনতা মূলক চারটি থিম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যেমন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক সচেতনতা, পরিবেশ দূষণ, মাদকের নেশা সর্বনাশা।
পাশাপাশি জেলার ব্লাড ব্যাংক গুলোতে রক্তের সংকট মোচনে ২৫ শে অক্টোবর স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির এবং সেইসাথে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের ও আয়োজন করা হয়েছে থানার পক্ষ থেকে। এদিন কালীপুজোর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে কাঁকরতলা থানায় উপস্থিত ছিলেন ডি এস পি ক্রাইম প্রতীক রায়,দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর শুভাশীষ হালদার,কাঁকড়তলা থানার ও সি মহম্মদ সাকিব সাহাব, শিক্ষক উজ্জ্বল হক কাদেরী ও শ্যামল কুমার গায়েন, সমাজসেবী কাঞ্চন দে,সেখ জয়নাল,কেনিজ রাশেদ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীবৃন্দ।
অন্যদিকে সদাইপুর থানা চত্বরেও কালী পূজার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য কর্মসূচি উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, ডিএসপি ডিএনটি কুনাল মুখ্যাজী,সিউড়ি সদর সার্কেল ইন্সপেক্টর সুব্রত ইন্দ্র,
সদাইপুর থানার ওসি জয়ন্ত দাস,দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক,সিউড়ি -১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক গৌতম মন্ডল, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রফিউল হোসেন খান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর জেলা সভাপতি মৌলানা আনিসুর রহমান সহ বহু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
কালীপুজো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুলিশের অপারেশন প্রাপ্তির মাধ্যমে সদাইপুর থানার পুলিশ কতৃক উদ্ধারকৃত ১২ টি মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এছাড়াও কালীপুজো এবং আসন্ন শীত উপলক্ষে স্থানীয় থানা এলাকার শতাধিক দুঃস্থ ব্যাক্তিদের মধ্যে বস্ত্র ও কম্বল বিতরন করা হয়।