কৃষিতে বিশ্ব উষ্ণায়ণ এর প্রভাব সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শিবির
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- বাংলায় যে ছয়টি ঋতু বৈচিত্র তা আজ বিপন্ন।আষাঢ়- শ্রাবণ বর্ষাকাল কিন্তু আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস ঢুকলেও বর্ষার কোনো দেখা নেই।যার প্রেক্ষিতে কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায়। সকলেই অবগত যে দৈনন্দিন প্রকৃতির তাপমাত্রা প্রবল থেকে প্রবলতর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈজ্ঞানিকদের অভিমত যে এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যার ফলস্বরূপ পরিবেশের আবহাওয়া তথা জলবায়ুর বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বরো চাষের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন সেই বৃষ্টিও অপ্রতুল হয়ে পড়ছে।এরফলে ফলে কৃষকেরা ধান চাষ করতে বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন মধ্যে পড়ছে। বরো চাষটা মূলত আকাশ বৃষ্টির উপরেই নির্ভরশীল। এইরূপ জলকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ কি হতে পারে। কম জল খরচ করে কিভাবে বরো ধান চাষ করা যায়। সেরূপ কৃষি ক্ষেত্রে সেচ জনিত সমস্যা,জল সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে একটি আলোচনা শিবির অনুষ্ঠিত হয় লাভপুর বিডিও অফিসের সভাকক্ষে। আয়োজকের ভূমিকায় ছিলেন টুমোরোজ ফাউন্ডেশন নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।যেখানে জার্মান ও কানাডা থেকে ফান্ডিং এজেন্সির প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।যারা এই বিষয়ের উপর মূলত আলোকপাত করেন। সেই সাথে ধান জমিতে যে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়, যা বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ সেই গ্যাস কিভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ দ্বারা সংরক্ষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায় সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।আগামীতে কম জলে চাষ ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় কিম্বা কি কি পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো স্থানীয় লাভপুর ব্লক এলাকার চাষী সহ পার্শ্ববর্তী ব্লক এলাকার চাষীদের মধ্যেও এধরনের কাজকর্ম শুরু করা হবে।উল্লেখ্য ইতিমধ্যে লাভপুর ব্লকের সুবলপুর ও ধালাস গ্রামে মুষ্টিমেয় কিছু চাষীদের দিয়ে উক্ত পদ্ধতিতে ধান চাষ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক ভাবে।উক্ত শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক( উন্নয়ন) বিশ্বজিৎ মোদক, লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, লাভপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক কৃষি আধিকারিক সহ জেলা ও ব্লক স্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগন। বিদেশ থেকে আগত ফান্ডিং এজেন্সির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন রিচার্ড, জন এবং মেরিন। এছাড়াও টুমোরোজ ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার স্বরূপ ঘোষ, কোফাউন্ডার অরূপ ঘোষ, প্রদীপ মুখার্জী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।