কেটে নেওয়া হলো তিনটি মোবাইলের দাম,বিশ্বভারতীর বিদায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ  হাতে পেলেন চার হাজার 

Spread the love

কেটে নেওয়া হলো তিনটি মোবাইলের দাম

বিশ্বভারতীর বিদায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ  হাতে পেলেন চার হাজার 

        খায়রুল  আনাম

বোলপুর, ৯ জানুয়ারি–বহু বিতর্কের মধ্যে দিয়ে পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ করে বিগত বছরের  ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্যের  পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন বিদ্যুৎ  চক্রবর্তী।   তিনি ২০১৮ সালের নভেম্বর  মাসে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে তিনি সরকারি বাংলো, গাড়ি, দেশ-বিদেশে যাওয়া-আসা এবং আনুষঙ্গিক  অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও মাসিক প্রায় তিন লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। 

     বিদ্যুৎ  চক্রবর্তী  বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন।  তাঁর সময়কালেই তিন বছর ধরে বন্ধ থেকেছে ঐতিহ্যবাহী  শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। এই সময়ই তিনি দাবি করেন যে,  বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী অমর্ত্য  সেন আদৌ নোবেল পুরস্কার  পাননি।  সেই সাথে তিনি দাবি করেন যে, অমর্ত্য  সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক প্রতীচী  বাড়ির মধ্যে বিশ্বভারতীর জমি ঢুকে রয়েছে। বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজে নেওয়া প্রতীচী বাড়ির মধ্যে অমর্ত্য  সেন অতিরিক্ত জমি ঢুকিয়ে রেখেছেন বলে  দাবি করে তিনি অমর্ত্য  সেনকে ‘জমি হরপকারী’ বলে মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য  সেনের বাড়িতে এসে তাঁর হাতে জমির কাগজপত্র তুলে দিয়ে  যান।  এরপরই  বিদ্যুৎ  চক্রবর্তী  নজিরবিহীনভাবে  সমাজ

মাধ্যমে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। এমন কী শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহে আচার্যের আসনে বসে তিনি যে সব মন্তব্য করেন তা ওই স্থানে বসে করা যায় না বলেও বলা হয়।

    এহেন প্রাক্তন উপাচার্য  বিদ্যুৎ  চক্রবর্তীর এবারের দাবিকে অবশ্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেনে তো নিলোই না, পরিবর্তে তাঁকে তাঁর কার্যকালের সময়ের হিসেব বুঝিয়ে দিলো কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে। উপাচার্য  থাকাকালীন সময়ের হিসেব মতো ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর সমস্ত প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো বিশ্বভারতীর হিসাব বিভাগ থেকে। বিদ্যুৎ  চক্রবর্তী যে হেতু ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত  উপাচার্যের পদে ছিলেন তাই তিনি ওই আট দিনের বেতন হিসেবে ৪৯ হাজার টাকা দাবি করেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ  সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখে যে,  তাঁর কার্যকালের সময়ে তিনি বিশ্বভারতীর যে তিনটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তা তিনি ফিরিয়ে দেননি। তাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ  ওই তিনটি মোবাইল ফোনের মূল্য বাবদ ৪৫ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বিদ্যুৎ  চক্রবর্তীর  অ্যাকাউণ্টে চার হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।।

ছবি : বিদ্যুৎ  চক্রবর্তী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *