কোভিডের পর বাড়ছে মানসিক অবসাদ,সমাধান দিলেন চিকিৎসকরা

Spread the love

কোভিডের পর বাড়ছে মানসিক অবসাদ,সমাধান দিলেন চিকিৎসকরা

শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ও পারিবারিক অবহেলার কারণে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে কিছু দেশ এই দিন থেকেই মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহ পালন করে। এবছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল বিষয় হলো ‘মানসিক স্বাস্থ্য হল সার্বজনীন মানবিক অধিকার । । সারা বিশ্বের মতো এ রাজ্যও দিনটি পালিত হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। কলকাতার যোধপুর পার্কের মিরাকেল ইনস্টিটিউট অফ সাইক্রিয়াটিতে পালিত হয় ‘কলকাতা মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস সিম্পোজিয়াম।’ যেখানে
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ের উপদেষ্টা ও এস এস কে এম হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির প্রাক্তন অধিকর্তা ডাক্তার
প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্ব জুড়ে মানসিক অবসাদে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করত ,কোভিড পরবর্তী সময়ে ৩৪ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ আত্মহত্যা করছেন মানসিক অবসাদে। কোভিড অতিমারির পর এখন শুরু হয়েছে অবসাদের অতিমারি।
তিনি বলেন, মানসিক অবসাদ কাটাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যদি দেখা যায় কেউ স্বাভাবিক আচরণ করছে না, খিদে বা ঘুম কমে গেছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ।
মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নীলেশ সাহা বলেন, সময় যত যাচ্ছে বড়োদের পাশাপাশি ছোটোদের মধ্যেও নানা চিন্তা সংক্রান্ত রোগ বা এংজাইটি ডিসওর্ডার বা উদ্বেগজনিত অবসাদ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন, কাউন্সেলিং ও যোগার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোক নাথ বসু,প্রাক্তন ডিন দিপঙ্কর ঘোষ। স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস ও অন্যান্য সাধারন মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে সুস্থ হয়ে বর্তমানে কতোটা সুস্থ আছেন সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *