খয়রাশোল ব্লকের দুই থানার যৌথ অভিযানে অবৈধ কয়লা পাচার রোধ এবং গ্রেপ্তার- ১ জন
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গঙ্গারামচক এলাকায় খোলা মুখ কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছেন একটি বেসরকারি সংস্থা। উত্তোলিত কয়লা ডাম্পার সহযোগে কাঁকরতলা থানার হজরতপুর সাইডিংয়ে মজুদকৃত হয় । সেখান থেকে রেলপথ তথা মালগাড়ি করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হয়। কয়লা পরিবহন করার সময় লোকপুর থানা এলাকায় যেমন গাড়ি থেকে কয়লা নামিয়ে নেওয়া হয়। অনুরূপ মজুদকৃত জায়গা থেকেও কয়লা চুরির অভিযোগ ওঠে। কাঁকরতলা থানার ওসি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খয়রাসোল থানার ওসির সাথে যোগাযোগ সাপেক্ষে যৌথ অভিযানে নামে ১০ ই অক্টোবর। রাতভর যৌথ অভিযানে নামতেই বড়সড় সাফল্য মেলে দুই থানার তৎপরতায়। এদিন কাঁকরতলা থানার হজরতপুর থেকে খয়রাসোল থানার কেন্দ্র গড়ে এলাকার রেললাইনের ধার বরাবর একযোগে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কয়লা ভর্তি ৯ টি মোটরসাইকেল সহ মোট ৩৬ ক্যুইন্টাল কয়লা এবং এক ব্যক্তিকে আটক করে। শনিবার সকালে ফের কাঁকরতলা থানার ওসি গোপন সূত্রের ভিত্তিতে স্থানীয় থানার পিএসআই আমিনুল ইসলাম সহ পুলিশ বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেন হজরতপুর হল্ট সংলগ্ন এলাকায়।সেখানে রেললাইনের ধারে ৬০ টি বস্তায় মোট ৫০ ক্যুইন্টাল কয়লা বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও কয়লা পাচারকারীরা এক্ষেত্রে পুলিশের গন্ধ পেয়ে গা ঢাকা দেয়। অন্যদিকে রাতে ধৃত ব্যক্তি স্থানীয় কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামের শেখ সাইফুদ্দিন কে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য গত ৯ ই অক্টোবর অনুরূপ রাত্রিবেলা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাঁকরতলা থানার পুলিশ হজরতপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গ্রামের তিনজন কয়লা পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করা হয় প্রচুর অবৈধ কয়লা সহ।
ধৃত সকল ব্যক্তিদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে, বিচারক সকলের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।