খাতড়া শহরের কালীপূজায় এবার নজর কাড়বে, ছোটা ভীমের ঢোলকপুর।
সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:—প্রতি বছরই খাতড়া শহরের কালীপুজো মানেই থিমের চমক। সেই ধারায় এবারের নবম বর্ষে লিজেন্ডস ক্লাব বেছে নিয়েছে বাচ্চাদের প্রিয় কার্টুন ‘ছোটা ভীম’। গতবার “মৃত্তিকা” থিম মন কেড়েছিল দর্শনার্থীদের, বিগত বছরগুলিতে ডাইনোসর, বরফের দেশ, চন্দ্রায়ন-টু কিংবা চল্লিশ ফুট উঁচু প্রতিমা নিয়ে তারা শহরে চর্চার কেন্দ্রে ছিল।
ক্লাবের সদস্য সুখেন দাস বলেন, এবার আমরা বাচ্চাদের কথা ভেবেই ঢোলকপুরকে বেছে নিয়েছি। আজকাল বাচ্চারা ফোনে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের কার্টুনের দুনিয়া, খেলাধুলোর আনন্দ ফিরিয়ে দিতে চাই। ভীমের মতো সাহসী, ন্যায়পরায়ণ চরিত্র দেখে তারা আনন্দ পাক। মূলত সেই ভাবনা থেকেই আমাদের চলতি বছরের থিম। প্রায় দু লক্ষ আশি হাজার টাকার বাজেটে তৈরি হচ্ছে এই জমজমাট মণ্ডপ। থিম শিল্পী অশোক কালিন্দীর হাত ধরে বাঁশ, কাপড়, খড় আর চট দিয়ে সাজানো হচ্ছে পুরো ঢোলকপুর গ্রাম। দিনরাত দশ-বারোজন শিল্পী কাজ করছেন, যাতে পুজোর আগেই সব শেষ হয়।
থিমে থাকছে ছোটা ভীম, চুটকি, রাজু, কালিয়া, ধোলু-মোলু, জগ্গু বাঁদর থেকে শুরু করে রাজা ইন্দ্রবর্মা আর রাজকুমারী ইন্দুমতীও। দোকানদার, ডাকাত এই সবাই যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে আলোকসজ্জার ঝলকে। মন্ডপ চত্বরে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ভীমের শক্তির উৎস – সেই বিশেষ লাড্ডুর স্টল। তবে এই লাড্ডু খেয়ে বিশেষ শক্তি না পেলেও অনুভূতি অনেকটাই পাওয়া যাবে বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি। ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে স্বেচ্ছাসেবকরা, হাতে থাকবে ওয়াকিটকি। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থানপথ, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সবই নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শহরের দাসের মোড় থেকে কংসাবতী স্কুলের আগে পৌঁছলেই চোখে পড়বে কার্টুনের মতোই গড়ে ওঠা ঢোলকপুর। রাতের আলোয় থিমটা দেখে সত্যিই মনে হবে, কার্টুনের দুনিয়া নেমে এসেছে খাতড়ায়। খাতড়া শহরে বেশ কয়েকটি থিমের পুজো এবারে দর্শকদের মন জয় হবে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই