কাশিপুর হাই স্কুলের উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতনতা শিবির
শুভদীপ ঋজু মন্ডল বাঁকুড়া:——আজ ১৪ ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এই উপলক্ষে খাতড়ার কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর উদ্যোগে কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো ডায়াবেটিস নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির ও রক্ত পরীক্ষা শিবির এদিনের এই সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার সনামধন্য চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজ (তুফান দা) খাতড়া মহকুমার অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক অসিত বরণ মন্ডল, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি ভক্ত রঞ্জন পাত্র, মহকুমা এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা যেমন মান্নান হোসেন, শান্তিরাম মন্ডল, চন্দনা সাউ, সুরজিৎ সন্নিগ্রহী, লব কিশোর কর্মকার ,এছাড়া। হাসপাতালের দুজন কর্মী অর্ক মিত্র ও নিমাই ভট্টাচার্য, রক্তদাতা আন্দোলনের বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তা নিমাই চক্রবর্তী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার বারিক শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিশিষ্ট সাংবাদিক সাধন মন্ডল প্রমুখ। ডায়াবেটিস কি এবং কেন হয় ও তার প্রতিকার নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজ। তিনি বলেন ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ যা একটি মানুষকে সব দিক থেকে শেষ করে দিতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে তিনি যদি সচেতন না থাকেন তাহলে তার আরো বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের প্রথম থেকেই খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা একান্ত জরুরী , ডায়াবেটিসের বেশ কয়েকটি ভাগ রয়েছে তার মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। নিয়মিত শরীরচর্চা ,সময়ে খাদ্য গ্রহণ, পরিমিত খাবার খাওয়া ও মানসিকভাবে শান্তি প্রয়োজন। বিশ্বের মধ্যে ভারতবর্ষে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তিনি উপস্থিত অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন যদি আমরা এই শিশু বয়স থেকেই সচেতন হতে পারি তাহলে আগামী দিনে আমাদের ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এই বিদ্যালয়ের এই ধরনের একটি বিষয় নিয়ে সচেতনতা শিবির করার উদ্যোগে খুশি বলেও জানান। এ দিনের শিবিরে ডায়াবেটিস মুক্ত জীবন নামে একটি পত্রিকার প্রকাশ করেন ডাক্তার অমিতাভ চট্টরাজ । যার লেখক কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক তথা মহকুমার কোঅডিনেটর এবং আজকের শিবিরের উদ্যোক্তা তপন কুমার প্রহরাজ। আজকের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন এই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস কুমার সেনগুপ্ত শিবিরে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সবশেষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক অভিভাবিকা দের হাতে শিশু দিবস উপলক্ষে একটি করে চকলেট তুলে দেওয়া হয়।