খিচুড়ি ও কচ্ছপের মাংস খেয়ে অসুস্থ সমগ্র পরিবার, যার মধ্যে মৃত -১ জন, কাঁকরতলা থানা এলাকায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ জনিত ঘটনা যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। ফের একটি পরিবার খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এমনকি একজনের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার বড়রা পঞ্চায়েতের বিনোদপুর গ্রামের । জানা যায় মঙ্গলবার রাতে ঐ পরিবারটি কচ্ছপের মাংস ও খিচুড়ি খাওয়ার বন্দোবস্ত করে। পরদিন বমি পায়খানা উপসর্গ দেখা দেয় পরিবারের ৬ জন সদস্যের মধ্যেই। তাদের চিকিৎসার জন্য নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েকজনকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাধীন বাগদি নামে ৪৯ বছর বয়সী উক্ত পরিবারের সদস্যর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে বলে জানা যায়। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিনোদপুর গ্রামে ছুটে আসেন বড়রা অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ জয়নাল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং পরিবারের পাশে থাকা ও পঞ্চায়েত গত ভাবে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। খিচুড়ি ও কচ্ছপের মাংস খেয়ে এই অসুস্থ কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। অপরদিকে নাকড়াকোন্দা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মারফত জানা যায় যে,এই মৃত্যুর কারণ শুধু খাদ্যের বিষক্রিয়া নয়, অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ভর্তি থাকা পরিবারের বাকিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বাকিরা দুবরাজপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যেকেই বিপদমুক্ত। গ্রামে আর কেউ অসুস্থ কিনা তাহা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।