খেলার ছলে ভাঙা খেলনা দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে হুগলীর শিশু
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, উত্তরপাড়া, হুগলী -:
শিশুটির বয়স কত হবে? খুব বেশি হলে চার! তার সমবয়সী একদল যখন টিভিতে কার্টুন দেখতে অথবা মোবাইলে গেম খেলতে এবং সেগুলি নিয়ে ভাবনার জগতে বিচরণ করতে ব্যস্ত তখন শিশুটি নিজের ভাঙা খেলনা সামগ্রী দিয়ে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মত্ত। কখনো সে তৈরি করে ফেলছে পুজোর মণ্ডপ, কখনো বা রথ। মণ্ডপ তৈরি করেই সে শান্ত থাকছেনা, মাটি দিয়ে তৈরি করছে প্রতিমা। সেটি মণ্ডপে স্থাপন করে পুজোর পাশাপাশি পুজোর শেষে প্রতিমা বিসর্জনও করছে। খেলনার সংখ্যা কম থাকায় একটা কাঠামো ভেঙে সে সেগুলো দিয়েই তৈরি করেছে রথ, দুর্গার মণ্ডপ সহ আরও অনেক কিছু। এখন সে ব্যস্ত কালীর মণ্ডপ তৈরি করতে। এমনকি পাশে গগন চুম্বী ফ্ল্যাট বাড়ি দেখে সেটাও সে তৈরি করার ইচ্ছে প্রকাশ করে ফেলেছে। আফসোস অত খেলনা তার কাছে নাই! এই শিশুটিই হলো হুগলীর উত্তরপাড়ার রূপায়ন ব্যানার্জ্জী, পরিবারের সবার আদরের তথা মা-বাবার নয়নের মণি রূপসোনা।
ছোট্ট রপের সর্বক্ণের সঙ্গী মাম্মাম জেঠিমা সোমা। পড়াশোনার ফাঁকে জেঠিমার পাশে বসেই রূপ তার সৃষ্টিকর্মে মেতে ওঠে। তার কাছ থেকে প্রশংসা না পাওয়া পর্যন্ত শিশুটির মনে শান্তি থাকেনা। গলা জড়িয়ে ধরে আদর খেতে খেতে জোর করে মায়েরও শংসাপত্র জুটিয়ে নেয়।
জেঠিমা সোমা দেবী বললেন, শিশুমন যদি এইধরনের সৃষ্টির কাজে মেতে ওঠে সেটা খুবই আনন্দের। সেগুলো দৃষ্টিনন্দন নাহলেও তার মধ্যে আছে একটা শিশুর প্রাণের স্পর্শ। আসলে রূপকে এমন এক পরিমণ্ডল ঘিরে আছে যেখানে রীতিমত সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। পরিবারের প্রভাব তো তার উপর পড়বেই। কথা বলতে বলতে পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য আদরের রূপকে নিয়ে শিশুসুলভ আনন্দে মেতে উঠলেন মাম্মাম।